ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তচ্যুত বিপন্ন রোহিঙ্গাদের দেখতে গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন তুরুস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রুতি রোহিঙ্গারা অসহায়।মানবিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে বিরল। যতদিন রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন হবে না ততদিন পর্যন্ত সবধরনের সাহার্য্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যু সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে তুরুস্ক সরকার।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের বিনালি ইলদিরিম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো এবং নিরাপদে বসবাসের জন্য আর্ন্তজাতিক সব মহলের একযোগে কাজ করা জরুরি। উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বুধবার বেলা ১১ টার পরে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি সারাসরি যান উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে। পরে তিনি সেখানে তুরুস্কের সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করে। ওখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সাথে আলাপ করেন তিনি। এর পর কুতুপালং শিবির রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।এসময় তুরুস্কেরর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীস,জেলা প্রশাসক মোঃআলী হোসেন,উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুকারুজ্জামান সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দুই দিনের সরকারি সফরে সোমবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মারক হিসেবে একটি চারাগাছ রোপণ করেন। এছাড়াও তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাদুঘরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোহিঙ্গাসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
##
পাঠকের মতামত: