নিউজ ডেস্ক :: কোরবানির ঈদ আসন্ন। মসলার পাইকারি ও খুচরা বাজার এসময় থাকে বেশ জমজমাট। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের ন্যায় এবারও মসলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়েনি ঈদের প্রভাব। তবে গত দুইদিন ধরে বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। মসলার বেচাকেনা কম থাকায় দামও কমতির দিকে রয়েছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও মসলা আমদানিকারক অনিল চন্দ্র পাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মসলার আন্তর্জাতিক বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তাই দেশীয় বাজারে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে গত সপ্তাহে দারুচিনির মূল্য কেজিতে মাত্র ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। এলাচি ও জিরাতে এবারও লোকসান গুনতে হবে আমাদের। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী অর্পণ চৌধুরী বলেন, গুয়াতেমালা ও ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের এলাচি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৬ শ’ থেকে ২৭ শ’ টাকা দরে। মধ্যমানের এলাচি বিক্রি হচ্ছে ১৯ শ’ থেকে ২ হাজার টাকায় ও নি¤œমানের এলাচি বিক্রি হচ্ছে ১৩ শ’ টাকায়। ছয় মাসের বেশি সময় ধরেই একই দামে বিক্রি হচ্ছে এলাচি। আমদানি করা ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায় এবং ভালো মানের ইরানি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। গতবছরের ন্যায় এগুলোন মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দুই মাস আগে ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯৭৫ টাকায়। যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে এর দাম বাড়েনি। লবঙ্গের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে করোনার মধ্যে তুলনামূলক সারা বছরই লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারেও এর দাম বেড়েছে।
একইভাবে ভিয়েতনামের গোলমরিচ ও দারুচিনি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। এক মাস আগে ৫৪০ টাকা থেকে বেড়ে গোলমরিচ কেজি ৫৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে দারুচিনির কেজি ৩৩০ টাকা হয়েছে। এখনো একই দামে তা বিক্রি হচ্ছে। কিসমিস এখন ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জায়ফল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩৫০ টাকা দরে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় ভালো মানের এলাচি বিক্রি হচ্ছে ২৯ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায়। মধ্য ও নিম্নমানের এলাচি ১৫ শ’ থেকে ২৪ শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের জিরা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায়, দারুচিনি ৪০০ টাকায়, গোলমরিচ ৪০০ টাকায় ও লবঙ্গ ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শুকনো মরিচ মানভেদে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত এবং হলুদ ১৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ৬০ টাকায় ও আমদানি করা রসুন ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আবার কিছু দোকানে কয়েক দিন আগের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় ও আদা ১৫০ টাকায়।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে আদা-রসুনের দাম বেড়েছিল। দেশি আদা পাইকারি বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকা, আমদানি করা আদা ২০০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ৪০ টাকা কেজি দরে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশেও বেড়েছে আদা রসুনের দাম, জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: