ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

নিবন্ধন বাতিল হওয়া সমিতি’র নামে প্রতারণা

জমি বরাদ্দ দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারক চক্র

বার্তা পরিবেশক :: বাতিলকৃত ছাইরাখালী ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতি’র নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতারক চক্রটি খাসজমি বরাদ্দ দেয়ার নামে হতদিরদ্র স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে সমিতির পূর্বের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমদ কক্সবাজার জেলা সমবায় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে প্রতারণার দায়ে বখতিয়ার উদ্দিন হেলাল নামে একব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে কক্সবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির কাছে মুচলেখা দিয়ে ছাড়াও পেয়েছেন ওই প্রতারক।

বাতিলকৃত ছাইরাখালী ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমদ জানান, হতদরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে গত ২০১৪-১৫ সালের দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নে ছাইরাখালী ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। ওই সমিতির অনেক সদস্যদের জমিজমা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করেন জেলা সমবায় কার্যলয়। যার আদেশ নং- ৩৩৪ তাং ২২-০২-২০১৬ ইং। এরইমধ্যে বাতিল হওয়া সমিতির সদস্যরা আরেকটি নতুন সমিতিও গঠন করেন। বর্তমানে গঠিত নতুন সমিতির সদস্যরা নানা কর্মকান্ড দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু একটি প্রতারক চক্র বাতিলকৃত ছাইরাখালী ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতি’র নাম ব্যবহার করে নানা প্রতারণা কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। পূর্বের সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমদের অভিযোগের পর পুলিশ হেলালকে গ্রেফতার করে। পরে এধরণের প্রতারণা করবে না বলে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পান হেলাল। এরপর থেকেই বেশকিছু গ্রাহক তাদের জামানতের টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ফিরোজ আহমদ আরও জানান, কয়েকমাস ধরে বাতিলকৃত ধন্যারচর ও ভরাচর ভূমিহীন সমবায় সমিতি’র নাম দিয়ে নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বখতিয়ার উদ্দিন হেলাল। হেলাল বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে জমি দেয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই ব্যক্তি ছাইরাখালী এলাকায় জামাল উদ্দিনের বাড়িতে বাতিলকৃত সমিতির নামে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এইনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তিব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এদিকে, ভূমিহীন মানুষকে জমি বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে হেলালের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা সমবায় কার্যালয়, জেলা প্রশাসক, দূর্নীতি দমন কমিশন, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও বিভাগীয় সমবায় অফিসার চট্টগ্রাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

 

পাঠকের মতামত: