দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে পুলিশ রুল মডেল হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজরের পুলিশ সুপার ডক্টর একেএম ইকবাল হোসাইন। তিনি বলেন, জঙ্গিদের কোন ধর্ম নেই, জাত নেই। তারা দেশ ও ধর্মের শত্রু। যেভাবেই হোক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ সব ধরণের অপরাধ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (১ মে) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর আয়োজনে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
সমাজের সবশ্রেনীর মানুষ আলেমদের মূল্যায়ন করে জানিয়ে পুলিশ সুপার ডক্টর একেএম ইকবাল হোসাইন বলেছেন, আপনারা সমাজের সর্বোচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন লোক। আপনাদের কথা মানুষ বিশ্বাস ও মূল্যায়ন করে।
ইসলামের নামে যারা জঙ্গিবাদ করছে তাদের ব্যাপারে জুমার খুতবায় বয়ান দিন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান। গুটি কয়েক ব্যক্তির কারণে আমাদের বদনাম হচ্ছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিন। ধর্মের অপব্যাখাকারীদের ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করুন। আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করুন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক খাজা আহমদ মিয়াজীর সভাপতিত্বে ইমাম সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বায়তুল মোর্কারম জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা এহছানুল হক জিলানী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ওসমান গণি, কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নন্দন কুমার চন্দ, জেলা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী, কক্সবাজার তৈয়বিয়া তাহেরিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাত হোছাইন, কক্সবাজার ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেক। সভা পরিচালনা করেন ফিল্ড অফিসার ফজল করিম।
সম্মেলনে জেলার প্রতি উপজেলা থেকে ২০ জন করে বাছাইকৃত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম অংশ গ্রহণ করেন। সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ট ইমাম ও ৩ জন শ্রেষ্ট খামারী ইমাম বাছাই করা হবে। এসব ইমামগণ পরবর্তীতে বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করবেন। এর আগে প্রতি উপজেলায় ২ জন করে শ্রেষ্ট ইমাম বাছাই করা হয়। বাছাই কমিটির আহবায়ক ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক খাজা আহমদ মিয়াজী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার, জেলা মৎস্য অফিসার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনভুক্ত ৪টি সমিতির সভাপতি ও আলীয়া নেসাবের একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ।
পাঠকের মতামত: