আগামী ১৩ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাবেন শফিউল আলম। ১৪ ডিসেম্বর বা যোগদানের তারিখ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ কার্যকর হবে।
রোববার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
শফিউল আলম ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থাকাকালীন ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। ২১তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে তিনি যোগ দেন ২৯ অক্টোবর।
শফিউল আলম ১৯৮২ সালের প্রশাসন ক্যাডারের নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৫৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ১৯৭৯-৮০ সালে বিএ ও এলএলবি পাস করেন, ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ সম্পন্ন করেন। লন্ডনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশাসন উন্নয়ন বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন শফিউল আলম।
শফিউল আলম এর আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের (সচিব পদ মর্যাদা) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) অতিরিক্ত সচিবও ছিলেন শফিউল।
এছাড়া তিনি মাগুরা ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি), বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ (বিপিএটিসি) কেন্দ্রের এমডিএস (মেম্বার ডিরেক্টেং স্টাফ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভা ও বিভিন্ন মন্ত্রিসভা কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রিসভা ও এর কমিটিগুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাজের তদারক করে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের সমন্বয়সাধনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।
সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের অন্যতম ফোরাম সচিবসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সভার সভাপতি। তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পদোন্নতির সুপারিশকারী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি।
পাঠকের মতামত: