নিজস্ব প্রতিবেদক :: চিরিংগা হরি মন্দির পূজা মণ্ডপের ২৫ফুট দূরে ময়লার স্তুূপ, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় পথচারী ও পূজারীদের দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বুধবার ৬ অক্টোবর থেকে মহালয়ার মধ্যে দিয়ে হিন্দুধর্মাবম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ চিরিংগা সর্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে পাশেই সড়কের ওপর উন্মুক্ত জায়গায় ময়লার স্তুূপ পড়ে আছে। ছড়াচ্ছে বিশ্রী দূর্গন্ধ।
পূজা মণ্ডপের কাছেই ময়লার স্তুূপ পড়ে থাকার বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকভার জানানোর পরও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে মন্দিরে আগত দর্শনার্থী ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা চরম ক্ষুব্ধ।
পৌর কর্তৃপক্ষ উন্নয়নকাজ চালাতে সড়কটি এক মাস আগে বন্ধ করে দেয়। এক মাস পার হলেও ঠিকাদার সড়কটির কাজ শেষ করতে পারেনি। এই সময়ে প্রতিদিন কাঁচাবাজার, দোকানপাট ও বাসাবাড়ির ময়লা স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের ব্যস্ততম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে চকরিয়া সর্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলছে। পূজা মণ্ডপের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাহিরে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল তৈরীর কাজও শেষ পর্যায়ে। এ মন্দিরে উপজেলার সবচেয়ে পূজা মণ্ডপ তৈরী করা হয়। মন্দিরের মাত্র ২৫ফুট দূরে ময়লার স্তুূপের কারণে কাজ করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতারা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৫০হাজার মানুষ চলাচল করে।
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্দিরের পাশের এক আতড়দার বলেন, একমাস ধরে সড়কের ওপর ময়লা পড়ে আছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ একবারও ময়লা অপসারণ করেনি। আরসিসি সড়ক নির্মাণ কাজও শেষ হয়নি। ১২দিন ধরে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কটি দিয়ে দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করাই যায় না।
চকরিয়া সর্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির দুর্গা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসীম কান্তি দে বলেন, পূজা মণ্ডপে একটু দূরেই ময়লার স্তুূপ। এতে মণ্ডপের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ও পূজা উদ্যাপনে বিঘ্র ঘটছে। শুনেছি রাতে ময়লা অপসারণ করবে পৌরসভা।
চকরিয়া সর্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির কমিটির সভাপতি প্রদীপ দাশ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ময়লার স্তুূপের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে সেটা ঠিক। তবে আমি পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি ময়লা অপসারণ করার কথা জানিয়েছে। আবারও যোগাযোগ করব।
চকরিয়া উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন, ময়লার পরিষ্কার করা বিষয়ে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা অপসারণ করবে বলে জানিয়েছিল। তবে এখনো করেনি।কখন করবে তাও নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা।
পাঠকের মতামত: