উখিয়া প্রতিনিধি :: চলতি মাসের শেষে দিকে উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির থেকে ২ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নোয়াখালীর ভাসানচরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রোহিঙ্গারা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে দায়িত্বরত সিআইসির নিকট তালিকা জমা দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ক্যাম্প ডব্লিউ ও ফোর ইস্ট ক্যাম্পের ১৩০ রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় তাদের তালিকা দিয়েছে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতারা জানিয়েছেন। এরইমধ্যে ভাসানচরে ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরও প্রায় দুই হাজার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান কবে হবে জানে না কেউ। উপরন্তু রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়ভাবে নানা সঙ্কট ও সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে প্রতিনিয়ত। স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬। এ হিসাব গত ৫ আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ছাড়াও আশ্রয় প্রার্থী এতিম শিশু রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৪১ জন। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৫টি রোহিঙ্গা-ক্যাম্পে বছরে গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু। বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার একর ভূমি ব্যবহার করছে তারা। শুধু নতুন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্যাম্পের জন্যই সাড়ে ৬ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারের প্রায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশে কাজ করছে প্রায় ১৮০টি দেশি-বিদেশি এনজিও। এরমধ্যে নানা কারণে কয়েকটি এনজিওর কার্যক্রম রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: