নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় ৪র্থ ধাপে চকরিয়া উপজেলার অবশিষ্ট ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ৭মে অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত চকরিয়ার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সরব গ্রামাঞ্চল। এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩এপ্রিল।
গত ২৭মার্চ নির্বাচন কমিশন থেকে ৪র্থ ধাপে ঘোষিত তফসিলে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী অঞ্চলের যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে; ত হলো, পশ্চিম বড়ভেওলা, বদরখালী,ঢেমুশিয়া, কোনাখালী,পূর্ববড়ভেওলা, ঢেমুশিয়া ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন। ঘোষিত তফসিল সূত্রে জানাযায়, ৭এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন, যাছাই-বাছাই ১০ ও ১১এপ্রিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৮এপ্রিল ও ভোট গ্রহণ ৭মে’১৬ইং। নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মেছবাহ উদ্দিন গত ২৭মার্চ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নাম সহকারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা হলেন, পশ্চিম বড়ভেওলায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: সাখাওয়াত হোসেন, বদরখালীতে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাইফুর রহমান, ঢেমুশিয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আতিক উল্লাহ, কোনাখালীতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোর্শেদ আলম, পূর্বড়ভেওলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খুরশিদুল আলম চৌধুরী, বিএমচরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুজন কানুনগো। প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী চেয়ারম্যান, সাধারণ আসনে মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মেম্বারদের ১এপ্রিল থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করা হবে।
এদিকে চকরিয়ার মাতামুহুরী অঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হওয়ায় গ্রাম অঞ্চলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতায় ইচ্ছুক চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে শুরু করেছে। গণসংযোগ, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, ওঠান বৈঠক, মসজিদ-মাদরাসা-স্কুলে গিয়ে নিজ নিজ পরিচিতি উপস্থাপন থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার প্রচারণায় মুখর গ্রামীণ এলাকা।
অপরদিকে ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীক পেতে জোর লবিংয়ে প্রার্থীরা। দলীয় এই নৌকা প্রতীক যেন সোনার হরিণ, এই নৌকা প্রতীক হযরত সোলাইমান (আ:) এর আংটিতে পরিণত হয়েছে। নৌকা প্রতীক ছিনিয়ে আনতে স্থানীয়, উপজেলা, জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় লেভেল পযর্ন্ত লক্ষ লক্ষ টাকার মিসন নিয়ে নেমেছে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী নেতারা। বিপরিত দিক দিয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে এতো বেশি লবিং করতে নেতাদের দেখা যায়নি।
সাধারণ ভোটাররা মনে করেন, জয়-পরাজয় যারই হোকনা কেন, নির্বাচন অবাধ,নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হোক। যাতে সাধারণ ভোটাররা আতংকে না থাকে, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। এজন্য নির্বাচন কমিশন সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।##
পাঠকের মতামত: