ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ১৮০ বস্তা ওএমএসের চাল উদ্ধার, গুদাম সীলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাল বিতরণে অনিয়মের ১৮০ বস্তা চাল জব্দ করেছে। এসময় চালের গুদামও সীলগালা করা হয়েছে। ২২ মার্চ রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব ডিলার জুবাইরুল ইসলামের গুদামে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রূপান্তর চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব ডিলার জুবাইরুল ইসলামের মাধ্যমে বিএমচর এলাকার ৬৫২ জন উপকারভোগী ১০ টাকা মূল্যের ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন। ৬৫২ জন উপকারভোগীর জন্য বরাদ্দকৃত ৩৯১ বস্তা চাল গত ২১ মার্চ এসব চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও, তা বিতরণ না করে রেখে দেওয়ার অপরাধে অভিযান চালিয়ে ১৮০ বস্তা চাল জব্দ করে। পরে উক্ত গুদামটি সীলগালা করা হয়।

ডিলার জুবা্রইল ইসলাম জানান, উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে গত ১৭ মার্চে সংগ্রহ করা ৩৯১ বস্তা চাল তার নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘চাউল বিতান’ বিএমচর এর গুদামে সংরক্ষণ করেন। ৩৯১ বস্তা চাল গুলো ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খানের যোগসাজশে তাকে নিম্মমানের স্থানীয় চাল দিয়েছে বলে অভিযোগ করে ডিলার জুবাইর সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের ছাড়পত্রে খাদ্য গুদাম থেকে সংগ্রহ করা চাল গুলো পরীক্ষা করে দেখতে পান, ৩৯১ বস্তা চালের মধ্যে ১১ বস্তা ভিয়েতনামের চাল হলেও বাকি ৩৮০ বস্তা নিম্মমানের স্থানীয় চাল। তিনি বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিককে অবহিত করে চালের কিছু নমুনা নিয়ে হাজির হই। পরবর্তীতে বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খানের সাথে কথা বললে ওনার নির্দেশে ২০ মার্চ রাতে চকরিয়া খাদ্য গুদামের কর্মচারীসহ দু’টি ট্রাকে করে ৩৮০ বস্তা ভিয়েতনামের চাল আমার গুদামে দিয়ে, একটি গাড়িতে ২০০ বস্তা নিম্মমানের চাল নিয়ে গেলেও আরও ১৮০ বস্তা চাল রাত বেশি হয়ে গেছে অজুহাতে আমার গুদামে ফেলে যায়। যে গুলো পরের দিন সকালে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। সোমবার সকাল থেকে উপকারভোগীরা চাল নিতে এসে ভিড় করায় ওইদিনও চাল গুলো নিয়ে যায়নি।পরবর্তীতে চাল গুলো আমার গুদামে পড়ে থাকে।

ডিলার জুবায়ের আরও বলেন, চাল বিতরণের দিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএমচর খাদ্য বান্ধব ডিলারের বিতরণ পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান খাঁন। খাদ্য গুদামের ওসি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমাকে দিয়ে নিন্মমানের চাল বিতরণ করতে না পারায়, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানান।

চকরিয়া পৌরসভার খাদ্য বান্ধব ডিলার আবদুর রশিদ জানান, চিরিংগা অটোরাইস মিলের মালিক রমিজ উদ্দিন বাবুল ও সোনালী অটো রাইস মিলের মালিক ফজল করিমের যোগসাজশে খাদ্য গুদামের ওসি নিন্মমানের এসব চাল ডিলারদের দিয়ে অবৈধভাবে বিতরণের জন্য ইতোপূর্বেও কয়েকবার চেষ্ঠা চালিয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত: