ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সেচ স্কীমে দুর্বৃত্তদের তান্ডব, মটর পুকুরে নিক্ষেপ ও তার কেটে চুরি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় রাতের আঁধারে জেলা পরিষদ সদস্যের পারিবারিক একটি সেচ স্কীমে হানা দিয়ে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে তান্ডব চালিয়েছে। এসময় স্কীমের মটরটি খুলে পাশের পুকুরে নিক্ষেপ করেছে। কেটে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ তার। এ ঘটনায় সেচ স্কীমটির পানি সুবিধা বন্ধ থাকায় স্থানীয় শতাধিক একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার কারনে চাষাবাদ নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় ভুগছেন স্থানীয় দুই শতাধিক কৃষক।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন বমুবিলছড়ির পানিশ্যাবিলে ঘটেছে এ তান্ডবের ঘটনা। এ ঘটনায় স্কীম মালিক কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদের ছোটভাই মকছুদ আহমদ গতকাল বুধবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে সেচ স্কীম মালিক মকছুদ আহমদ জানান, ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পানিশ্যাবিলে সেচ স্কীমটি বসিয়ে এলাকার কৃষকদের মাঝে প্রতিবছর সেচ সুবিধা দিয়ে আসছেন। তার স্কীমের অধীনে পানিশ্যাবিলের প্রায় একশত একর (২৫০) কানি জমিতে বোরো ও আমন চাষ করা হয়।

তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে তিনি স্কীমটি চালু করে স্থানীয় কৃষকের জমিতে পানি সুবিধা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) রাতে কে বা কারা স্কীমে হানা দিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে পাম্পের মটরটি খুলে পাশের পুকুরে নিক্ষেপ করে দেয়। এসময় কেটে নিয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ পাম্পের বৈদুত্যিক তার।

স্কীম মালিকের বড়ভাই বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ বলেন, স্কীমে তান্ডবের ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত থাকতে পারে তা আমরা সনাক্ত করার চেষ্ঠা করছি। তবে অভিযোগে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগটির প্রেক্ষিতে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। #

পাঠকের মতামত: