ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা মামলার  আসামি গ্রেফতার

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত মামলার আসামি সাইদুল ইসলাম রুবেল (৩৫) নামের আরো একজনকে চারমাস পর গ্রেফতার করেছে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রুবেল বরইতলী ইউনিয়নেে পহরচাঁদা ৮নং ওয়ার্ড হাফালিয়াকাটা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। ইতোপূর্বে পুলিশ মামলার এক নম্বর আসামি স্থানীয় সাহাব মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা এলাকার বাসিন্দা সিএনজি চালক মো. আরমান গত ৯ জুলাই উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় হত্যাকান্ডের শিকার হন।

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন, গতকাল (২৭অক্টোবর) ভোর রাত ৩টার দিকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস আই মোঃ আবদুল আজিজ শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি রুবেলকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।

জানা গেছে, গত ১০ জুলাই সকালে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা মাদ্রাসা সড়কের পাশ থেকে লোকজন অজ্ঞাত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওইসময়, মৃতদেহের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে পরে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। থানা পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ আরমান (২৩)। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক। নিহত আরমান চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়ার বাসিন্দা মোঃ জকরিয়ার ছেলে।

নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ৮জুলাই সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে আরমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এই অবস্থায় ৯ জুলাই রাতে কতিপয় লোকজন আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ রশি দিয়ে বেঁধে সড়কে ফেলে দেয়।

পরদিন ১০ জুলাই সকাল ৭টার দিকে বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা মাদরাসার সামনে গোল চত্বর এলাকা থেকে আরমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২১/৩২৭)। ##

পাঠকের মতামত: