ঢাকা,বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় শিশুসন্তানকে বাড়িতে রেখে হত্যা  মামলার সাক্ষী মাকে অপহরণ

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে দেড় বছরের শিশু সন্তানকে রেখে দিয়ে হত্যা মামলার সাক্ষী তাঁর মাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের গুরুইন্যা কাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালায় এবং চার নারীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
অপহৃত নারীর নাম আয়েশা আক্তার (৩০)। তিনি সাহারবিল ইউনিয়নের গুরুইন্যা কাটা গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী এবং দেড় বছরের এক সন্তানের মা। অপহরণের পর ২০ ঘণ্টা পার হলেও গতকাল শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভিকটিম নারীর জা নুরুজা বেগম কতৃক চকরিয়া থানায় জমা দেওয়া এজাহার অনুযায়ী, সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে চারজন নারীকে জখম করে।
আহতরা হলেন নুরুজা বেগম (৪০), মরিয়ম বেগম (৩৫), ফারজানা ইয়াছমিন (১৯) ও আয়েশা ছিদ্দিকা (১৮)। আহতরা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং ১ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় আয়েশা আক্তারকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
এজাহারে বাদি দাবি করেন, গত ২৮ এপ্রিল সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুরে আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায় করা রুজু হওয়া মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন আয়েশা। এ ঘটনায় নিহত করিমের ছেলে আলী আহমদ চলতি বছরের ১ মে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলার আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে বাদী ও সাক্ষীদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ কারণে হত্যা মামলার বাদী আলী আহমদ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন, আর তাঁর এক ভাই অন্য মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে হামলা ও নারীকে অপহরণের ঘটনায় চকরিয়া থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আক্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি অপহৃত ওই নারীকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে সাহারবিল ইউনিয়নের  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা এবং থানার ওসি মো: মনজুর কাদের ভূইয়া ।

পাঠকের মতামত: