ঢাকা,শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় শিশু ওয়াসী হত্যা : প্রতিশোধ নিতে প্রেমিকের ছেলেকে হত্যা করে মুন্নি

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাবেক প্রেমিক সাহাবউদ্দিনকে স্বামী হিসেবে না পাওয়ার ‘প্রতিশোধ’ নিতে তার আড়াই বছরের ছেলে মোহাম্মদ আল ওয়াসীকে নদীতে ফেলে হত্যা করে মুন্নি আক্তার। গতকাল বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মুন্নি এ কথা স্বীকার করেছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন সোমবার রাতেই এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি মুন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে বিচারক রাজীব কুমার দেবের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে।

মুন্নির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, শিশু আল ওয়াসীর বাবা সাহাবউদ্দিনের সঙ্গে মুন্নির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ের কথা থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে অন্যখানে বিয়ে করেন সাহাবউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে মুন্নি ক্ষিপ্ত ছিল। তাই সাহাব উদ্দিনের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে তার শিশুপুত্রকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।

জবানবন্দিতে মুন্নি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনাও

দিয়েছে। সে জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শিশু আল ওয়াসী বাড়ির কাছের সড়কে খেলছিল। ওই সময় একটি চিপস দিয়ে ওয়াসীকে কোলে তুলে সবুজবাগের পশ্চিমাংশের বিলের মাঝখানের পথ দিয়ে স্বপ্নপুরী ক্লাবের সামনে যায় সে। সন্ধ্যা হওয়ার পর একটি টমটমে করে পৌর শহরের চিরিঙ্গা পুরাতন বাসস্টেশনে যায়। পরে শিশুটিকে কোলে নিয়ে হেঁটে মাতামুহুরী নদীর সেতুর একেবারে মাঝখানে যায়। সেখান থেকেই শিশু আল ওয়াসীকে নদীতে নিক্ষেপ করে মুন্নি। পরে সে সেখান থেকে তার বাড়িতে চলে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল বলেন, মুন্নি আক্তারকে দ্রুত ধরতে পারায় দু’দিনের মধ্যেই হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহত শিশু আল ওয়াসীর মা রুনা ইয়াছমিন বাদী হয়ে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলায় মুন্নি আক্তারকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: