এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: সরকারি নির্দেশনার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় কঠোর লকডাউন কার্যকরে মাঠ মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। বুধবার ৭ জুলাই লকডাউনের সপ্তম দিনে মাঠ মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা লঙ্গনের মাধ্যমে বিপনী বিতানে খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৩৩টি মামলার বিপরীতে বিপনী বিতান ও নাগরিককে জরিমানা করেছেন ইউএনও’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, মহামারি করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে সরকার সারাদেশে পহেলা জুলাই থেকে দুইদফায় ১৪দিনের কঠোর লকডাউন কর্মসুচি ঘোষনা করেছেন। এরই আলোকে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতোমধ্যে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকার প্রায় ৬ লাখ জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যঝুঁিকর বিষয়টি আমলে নিয়ে লকডাউন কার্যকরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অধীন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বর্তমানে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকায় সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। তবু কিছু কিছু এলাকায় সর্বসাধারণ সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে অযাচিত চলাফেরা করছেন এবং বিভিন্নস্থানে নির্ধারিত সময়ের পরও দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা চালাচ্ছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকরে মাঠ মনিটরিং অংশহিসেবে বুধবার উপজেলার বিভিন্নস্থানে সরকারি নির্দেশনা লঙ্গনের মাধ্যমে বিপনী বিতানে খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৩৩টি মামলার বিপরীতে বিপনী বিতান ও নাগরিককে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্নস্থানে গিয়ে সর্বসাধারণকে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে ঘরে থাকার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: