ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় রেডজোন দ্বিতীয় মেয়াদে ৭দিন বাড়লো লকডাউন কার্যক্রম

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রেডজোন এলাকায় ফের এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে লকডাউন কার্যক্রম। শনিবার ২০ জুন উপজেলা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ সংক্রান্ত সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্বান্তের আলোকে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে ঘোষনা দেন সভার সভাপতি চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

প্রসঙ্গত: কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ গত ৫ জুন উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার সিদ্বান্তের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকে দুই সপ্তাহের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

৭ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে রেডজোন ঘোষণাকৃত এলাকাসমূহে লকডাউন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২১ জুন মধ্যরাতে রেডজোনে লকডাউন শেষ হবার কথা থাকলেও শনিবার ২০ জুন উপজেলা প্রশাসনের বৈঠকে দ্বিতীয় বারের মতো আগামী ২২ জুন ২৮ জুন পর্যন্ত আবারও লক ডাউন ঘোষাণা করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এর সভাপতিত্বে শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতরোধ সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠিত সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, লকডাউন কার্যক্রম সময়ে রেডজোন এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ওষুধ, কাঁচাবাজার এবং মুদিমালের দোকান উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত দিনে খোলা থাকবে। তবে অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থাকবে।###

পাঠকের মতামত: