এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বাপের বাড়িতে এসে ইয়াছমিন আক্তার (২০) নামের এক সন্তানের জননীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে পাষণ্ড স্বামী। বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারী সকাল দশটার দিকে বরইতলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ অমানবিক ঘটনা। আহত ইয়াছমিন আক্তারকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী মহিউদ্দিন বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর পালনপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলমের ছেলে। নিযার্তনের শিকার ইয়াছমিন আক্তার চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।
আহত ইয়াছমিনের পরিবার সদস্যরা জানান, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে এবং বিয়ের সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র ও কাপড়-চোপড়সহ সমুদয় মালামাল দিয়ে ইয়াছমিন আক্তারকে মুসলিম আইন মোতাবেক সামাজিকভাবে বিয়ে দেন আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর পালন পাড়া সৈয়দ আলমের ছেলে মহিউদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের পর বর্তমানে তাদের সংসারে একবছর বয়সের মুক্তাকিন আবরার রিহান নামের এক ছেলে সন্তানও আছে।
ইয়াছমিনের বাপের বাড়ির লোকজন দাবি করেন, বিয়ের পর সুখের সংসার অতিবাহিত হলেও দুইমাস আগে স্বামী মহিউদ্দিন স্ত্রীর অমতে অপর একজন নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এ ঘটনার পর মহিউদ্দিন স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারকে পুনরায় বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার দাবিতে নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এমনকি নির্যাতনের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে ইয়াছমিন আক্তার আলীকদম থানায় স্বামী মহিউদ্দিনকে আসামি করে অভিযোগও দিয়েছেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি পাষণ্ড স্বামী।
আহত গৃহবধু ইয়াছমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে স্বামী মহিউদ্দিন। এই অবস্থায় শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়ি চকরিয়ার বরইতলীতে চলে আসতে বাধ্য হন। এরই মধ্যে সর্বশেষ বুধবার সকালে স্বামী মহিউদ্দিন বরইতলীস্থ আমার বাপের বাড়িতে এসে পুনরায় যৌতুকের দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় আমি টাকা দিতে পারবেনা জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর মারধর শুরু করে মহিউদ্দিন। ঘটনার সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবার সদস্যরা আমাকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যৌতুকলোভী স্বামীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করবেন বলে জানান আহত ইয়াছমিন আক্তার। ##
পাঠকের মতামত: