নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসটার্মিনালের পূর্বপাশের্^ মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে একটি জলাশয় ভরাট করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। প্রশাসন রাতদিন ওই রাস্তাদিয়ে আসা যাওয়া করলেও অজ্ঞাত কারণে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও জলাশয় ভরাট করে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশে একটি যাত্রীবাহি পরিবহনের কাউন্টার নির্মাণ করলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ চকরিয়ার সচেতন জনগনের।
চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীর দু’পাড়ের অর্ধশত পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বালি উত্তোলনকারী সরঞ্জাম উদ্ধার করলেও প্রভাবশালীরা যে সব স্থান থেকে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে ওইসব এলাকায় প্রশাসনের কোন অভিযান নেই বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।
মাতামুহুরী নদী ও ছড়া খালের দু’পাশের্^র এলাকার মধ্যে চকরিয়া উপজেলার বমু-বিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, বিএমচর, কোনাখালী, সাহারবিল, পূর্ব বড়ভেওলা,বদরখালী, চিরি্গংা ও চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এখনো প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকায় নদী ও ছড়া খালের উভয় পাশের্^র বেঁড়িবাঁধ গুলো বিনষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা।
এসব ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন বিভাগ, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে অভিযোগ করলে উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে নিয়ে আসে।
কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অসংখ্য বালির পয়েন্ট। বিশেষত, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সীমানাবর্তী এক নাম্বার গাইড বাঁধ এলাকার দিগরপানখালী, পশ্চিম দিগরপানখালী, কোচপাড়া এলাকায় ৩টি পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এসব উত্তোলিত বালি থেকে সরকার এক কানাকড়িও রাজস্ব পাচ্ছেনা।
এসব পয়েন্টের মালিকানা রয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। ফলে প্রশাসন দূর্বল ব্যক্তির পয়েন্টে অভিযান চালালেও ক্ষমতাসীনদের পয়েন্টে ফিরেও থাকাচ্ছেনা।
এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: