এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন মসজিদের খতিব ইমাম মোয়াজ্জিনরা বর্তমানে চরম অভাব অনটনে রয়েছে। মসজিদে চাকুরী ছাড়া তাদের বাড়তি কোন আয় নেই। অল্প টাকা বেতনে চাকুরী করে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনরা পরিবার নিয়ে বিপদ সংকুলন মুর্হুত অতিবাহিত করছে।
ইমাম মোয়াজ্জিনদের এমন দুর্যোগ-দুর্দিনে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্য মতো সহায়তার হাত প্রসারিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। শুক্রবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী। এদিন মোট ত্রিশজন ইমাম মোয়াজ্জিনকে তিনি সহযোগিতা দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি আরও ইমাম মোয়াজ্জিনদেরকে সহযোগিতা করে যাবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শ্রেণী-পেশার সকল নাগরিক দুর্দিনে রয়েছেন। সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ত্রান তহবিল থেকে প্রাপ্ত ১০০ মেট্রিক টন চাউল চকরিয়া উপজেলার জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে উল্লেখিত ১০০ মেট্রিক টন চাউল উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, কাকারা, বমুবিলছড়ি, ফাসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, সাহারবিল, পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, চিরিঙ্গা, পশ্চিম বড়ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কোনাখালী ও বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। #
পাঠকের মতামত: