নিজস্ব প্রতিবেদক ::কক্সবাজারের ড্রাগ সুপারের নামে চকরিয়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজারের ড্রাগ সুপার কাজী ফরহাদ আহমদ এর নামে চকরিয়ায় ফার্মেসি মালিকদের কাছ থেকে গণহারে চাঁদা তুলছেন কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চকরিয়া উপজেলা নামক সংগঠনের নেতারা।
চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি মালিকগণ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব অভিযোগ করেন। হাসপাতাল সড়কের এসকেআই ফার্মেসীর মালিক মোঃ তায়েফ জানান, চকরিয়া ড্রাগ সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক নিবেধন বাবুর নেতৃত্বে সমিতির ৩/৪ জন নেতা গত ৭ এপ্রিল আমার দোকানে এসে বলেন, কক্সবাজারের নবাগত ড্রাগ সুপার কাজী ফরহাদ আহমদ কে ঈদ সালামি ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকা দিতে হবে, তাই প্রতিটি ফার্মেসী মালিককে ১৫ শত টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টাকা আমার থেকেও দিতে হবে জানালে, আমি ১৫০০ টাকা নিবেধন বাবুর হাতে তুলে দিই।
দুলাল সেন্টারের রাফসী ফার্মেসীর মালিক মনজুর আলম বলেন, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা আমার দোকানে এসে ড্রাগ সুপারের নামে টাকা চাইলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের চাপা-চাপিতে ১৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।
কয়েকটি ফার্মেসীর মালিকেরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, তাদের ফার্মেসী গুলো চিহ্নিত করে, ড্রাগ সুপারকে দিয়ে অভিযান চালিয়ে মোটা অংকের জরিমানা করানোর হুমকি দেন বলে জানান একাধিক ফার্মেসীর মালিক।
এভাবে চকরিয়ার ৬৮টি ফার্মেসি থেকে ১লক্ষ ২০ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানান ফার্মেসি মালিকগণ। কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চকরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিবেধন বাবু টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, কক্সবাজারের নবাগত ড্রাগ সুপার কাজী ফরহাদ সাহেব কয়েকদিন আগে চকরিয়ায় এসে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ সনাক্ত করতে ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
ওই দিন ড্রাগ সুপারকে ম্যানেজ করতে আমাদের ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সামনে যেহেতু ঈদ তাই ড্রাগ সুপারকে বড় অংকের ঈদ সালামি দিতে হবে। এসব মাথায় নিয়ে সমিতির নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি (নিবেধন দাশ), আরিফ ফার্মেসির মালিক আরিফুল ইসলাম ও আজাদ ফার্মেসীর মালিক নাজেম উদ্দিনসহ টাকা উত্তোলন করতেছি। টাকা গুলো বর্তমানে আরিফুল ইসলাম এর কাছে জমা আছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি কক্সবাজারের ড্রাগ সুপার কাজী মোঃ ফরহাদকে অবহিত করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়, চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে চাঁদা আদায় করছে বলে জানান ফার্মেসি মালিকরা।
কক্সবাজারের ড্রাগ সুপার কাজী মোঃ ফরহাদ বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে এধরণের অর্থ আদায় করার কোন সুযোগ নেই। যারা এ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং উত্তোলনকৃত অর্থ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: