ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বৌদ্ধ বিহারের গাছ কেটে সাবাড় বাঁধা দেয়ায় বৌদ্ধভিক্ষুসহ চারজনকে পিটুনি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বৌদ্ধ বিহারের ছায়া বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে প্রভাবশালী দুর্বৃত্তরা। গাছ কেটে লুটের সময় বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে জখম করেছে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ প্রতিবাদি চারজনকে। সোমবার সকালে ইউনিয়নের হারবাং রাখাইন পাড়াস্থ গুণামেজু বৌদ্ধ বিহারে ঘটেছে গাছ কাটার এ ঘটনা। এ ঘটনায় স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৌদ্ধ বিহারের সামনে ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৪৫টি পরিবারের লোকজন। অপরদিকে এঘটনায় গুণামেজু বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছওয়েন্না থের (সুবর্ণা) বাদি হয়ে গতকাল সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, হারবাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রাখাইন পাড়ার মৃত আপ্রুমং এর ছেলে উসাং সওদাগর, মাস্টার মংয়াইং ও তার ছেলে উবা থোয়াইং, ছেংগ্যাসহ ১৫/২০ একটিদল সোমবার সকালে গুনামেজু বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে বড় আকারের সাতটি টেকসল গাছ কেটে সাবাড় করেন। পরে গাছ গুলো তাঁরা গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেন বিহারের ভিক্ষুসহ প্রতিবাদী লোকজন। ওইসময় তাদের হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়।

গাছ কেটে লুট ও হামলার ঘটনায় গতকাল ইউএনও কাছে অভিযোগ করা হলেও আগেরদিন এই ঘটনায় চকরিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দেন বৌদ্ধ বিহারের উপদেষ্টা আলূংহ্রী। এজাহারে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় বৌদ্ধ বিহারের ৭ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

চকরিয়া থানায় ঘটনাটি অবহিত করে এজাহার জমা দেয়ার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সহ পুলিশের একটিদল। ওইসময় পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অভিযুক্তদেরকে গাছ না কাটতে বারণ করেন।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ বিহারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। #

পাঠকের মতামত: