ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিদ্যালয়ের জায়গা ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে দুইপক্ষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, উত্তেজনা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের কুতুবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এ বিরোধের ঘটনা। ঘটনাটি নিয়ে দুইপক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আহমদ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় একটি পরিবারের পক্ষে এলাকার অন্তত ৩১জন লিখিতভাবে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)’র দপ্তরে।

অভিযোগে বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতি হোসেন আহমদ দাবি করেন, ১৯৯৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতি কুতুবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে এক দশমিক পাঁচ একর জায়গা দান করেন। সমিতির পক্ষে সাবেক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক জয়নাল আবেদিন জনু মেম্বার ও পরিচালক আবুল কাশেম স্বাক্ষর করেন। বর্তমানে দানকৃত জায়গার অন্তত ৫০ শতক জায়গায় বিদ্যালয়টি স্থিত থাকলেও অবশিষ্ট জায়গা বেদখলে রয়েছে।

সাবেক সভাপতি জানান, সম্প্রতি সময়ে উপজেলা শিক্ষা বিভাগের অর্থবরাদ্দ সাপেক্ষে বিদ্যালয়ের চারিদিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার ওয়াল নির্মাণের শুরুতে পিলারের গাথুঁনি করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের পেছনে বেশ কিছু জায়গা খালী রেখে পাশের একটি পরিবারকে চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছেন। অথচ আগে থেকে সেখানের একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেষে বিদ্যালয়ের জায়গার অবস্থান নির্ণয় করা রয়েছে। তারপরও বিষয়টি সমাধান করতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের পেছনের অভিযুক্ত পরিবারটির গৃহকর্তা ছৈয়দ নুর সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পেছনে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের শুরুতে যেই জায়গাটি খালী রাখা হয়েছে তা দলিলমুলে তাদের কেনা জায়গা। ফলে তাঁর পরিবার কেনা জায়গার ভেতরে বিদ্যালয়ের কোন জায়গা ঢুকেনি। ইতোমধ্যে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার জরিপ করে তা সত্যতা পেয়েছেন।

এদিকে বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ তুলে সাবেক সভাপতি হোসেন আহমদ বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ছৈয়দনুর সওদাগরের পক্ষে এলাকাবাসি স্বাক্ষর করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)’র দপ্তরে পাল্টা একটি অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও সমিতির পরিচালক কুতুবউদ্দিন, পরিচালক জয়নাল আবেদিনসহ এলাকার অন্তত ৩১জন ব্যক্তি। তাতে স্বাক্ষরকারীরা দাবি করেছেন, অভিযুক্ত ছৈয়দনুর নিজের ক্রয়কৃত জায়গায় রয়েছেন। যেই জায়গাটি বিদ্যালয়ের দাবি করা হচ্ছে, তা প্রায় ৪০বছর ধরে ছৈয়দনুরের পরিবার চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছেন। দলিলপত্রে তা চুড়ান্তভাবে উল্লেখ্য রয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: