ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

aaaaaaaaaaaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের রসিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ওই বিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় হাসনাত ইউসুফ ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ তাঁেদর সহযোগিরা বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাঁরা প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। এসময় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়।

প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের অফিসে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে গত ৭ অক্টোবর দুইজনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১৫-১৬জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

মুলত বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর, হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচির আয়োজন করেন। মহাসড়কে প্রায় ৪০ মিনিট মানবন্ধন কর্মসুচি শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফের বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যান।

মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেরাব হোসেন অপি ও সাকিব আল হাসান বলেন, অবৈধ সুযোগ না দেয়ায় অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা করেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির দাবি করছি। এইজন্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসুচির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবিটি তুলে ধরেছি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় তিনি (প্রধান শিক্ষক) বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এটি সমাধান করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছি। #

পাঠকের মতামত: