এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা আলীকদমের পাহাড়ি জনপদ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার থেকে চোরাই পথে পাচার হচ্ছিল গরু মহিষের চালান। এতে সরকার বিপুল টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হলেও কতিপয় পাচারকারী চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
অবশ্য বিষয়টি নজরে আসলে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে চকরিয়া উপজেলার পাহাড়ি জনপদের ইউনিয়ন সুরাজপুর মানিকপুর ৫ নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকার আঞ্চলিক সড়কে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ব্যাটলিয়ন বিজিবি সদস্যরা। এসময় আলীকদম থেকে চকরিয়ার উদ্দেশ্য আনা ২৫টি গরু ভর্তি পাঁচটি পিকআপ গাড়ি জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা । এসময় পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও বিজিবি ৫ পিকআপ গাড়ির চালককে আটক করেছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, এতদিন প্রশাসনের বিভিন্ন এজেন্সির চোখ ফাঁকি দিয়ে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে জড়িতরা অবৈধ গরু মহিষের চালানগুলো অনায়াসে এনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন মোকামে মজুদ করা হতো। পরে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো এসব গরুর চালান।
অভিযোগ উঠেছে, আলীকদম থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চোরাই পথে মায়ানমারের অবৈধ গরু মহিষের চালান পৌঁছাতে শতাধিক সদস্যদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র জড়িত রয়েছে। তারা মুলত চোরাই পথে এসব গরু মহিষের চালান এনে সরকারকে বিপুল টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করছেন। আগে এসব গরু মহিষ টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে রাজস্ব দিয়ে বাংলাদেশে আনা হতো।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার (ওসি) তদন্ত মো আবদুল জব্বার বলেন, বিজিবি সদস্যদের অভিযানে জব্দ করা ২৫টি গরু ও পাঁচটি পিকআপ গাড়ি এবং আটক ৫ গাড়ি চালক থানা হেফাজতে রয়েছে। বিজিবি এব্যাপারে মামলা দিচ্ছেন। মামলা পরবর্তী আদালতের নির্দেশক্রমে জব্দ ২৫ গরু ও গাড়ির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: