এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্টলবোমা হামলায় হতাহতদের পারিবারিক জায়গা জবরদখল করতে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের পহঁরচাদা গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ওইসময় নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। একই সাথে বসতভিটা থেকে কেটে লুটে নিয়ে গেছে ছোট-বড় অন্তত তিন শতাধিক গাছ।
আহতরা হলেন-উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকার আফজাল আহমদের ছেলে মোক্তার আহমদ (৫০) তার স্ত্রী বুলবুল আক্তার (৪০), মো. বাহাদুর (৬০), তার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪২) ও আক্তার আহমদের মেয়ে ইরান (৩০)।
ঘটনার পরপর আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মোক্তার আহমদ, তার স্ত্রী বুলবুল আক্তার ও জুলেখা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, কিছুদিন ধরে বসতভিটার জায়গা নিয়ে স্থানীয় মোক্তার আহমদ, কুমিল্লায় পেট্টলবোমা হামলায় আহত ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ও মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সাথে একই এলাকার এনামুল হকের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক চারটার দিকে এনামুল হকের ছেলে শরীফ ও মামুনের নেতৃত্বে ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মোক্তার আহমদের বসতভিটা দখলে নিতে পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় শরীফ ও মামুনের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে নারীসহ পাঁচজন গুরুতর জখম হয়।
আক্রান্ত পরিবারের সদস্য ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বসতভিটার জায়গাজবর দখল করতে ভোররাতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনাটি করেছে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইনর্চাজ) পুলিশ পরির্দশক মো.আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
পাঠকের মতামত: