ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বসতবাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলা নারীসহ আহত-৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দিনেদুপুরে একদল দুর্বৃত্ত বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তদের হামলায় রিক্সা চালক ও নারীসহ তিনকে বেধড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহকর্ত্রী কুলছুমা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে গতকাল রাতে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা জালিয়াপাড়া এলাকায় ওইদিন সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৃত আবদুল আজিজের মেয়ে রেনু আরা (৩০), তার ছোট বোন সাহেদা আক্তার (২২) ও রেনু আরা’র স্বামী রিক্সা চালক মোহাম্মদ মনির (৩২)।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৃত আবদুল আজিজের স্ত্রী কুলছুমা বেগম তার খরিদকৃত ভোগদখলীয় জায়গায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে দীর্ঘকাল যাবত বসতি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। তার দখলীয় বসতভিটার জায়গায় রবিবার সকালের দিকে অতর্কিত ভাবে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ছালাহ উদ্দিন, মোজাম্মেল, কালামিয়া, ইসমাইল ও আলাউদ্দিনসহ ৭-৮জন একদল দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বসতভিটার জায়গা দখল করার জন্য স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালায়।
এতে বাঁধা দিতে গেলে ওই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা তার মেয়ে রেনু আরা (৩০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে ছোট মেয়ে সাহেদা আক্তার (২২) ও মেয়ে রেনু আরা’র স্বামী রিক্সা চালক মোহাম্মদ মনির (৩২) কে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন। হামলার সময় দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা মেয়ে সাহেদা আক্তারের গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও তার ভেনেটি ব্যাগে থাকা বিশ হাজার টাকা দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নেয় বলে দাবী করেছেন মামলার বাদী কুলছুমা বেগম। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এ হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী কুলছুমা বেগমের ছেলে আবদুল হামিদ বলেন, তাদের দখলীয় বসভিটার জায়গায় আকস্মিক ভাবে একই এলাকার মিজবাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে সহ ৭-৮জন দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে বসতভিটায় স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমার এক বোনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। এছাড়াও অপর ছোট বোন ও ভগ্নিপতিকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনার পর থেকে ওই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ও নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম হিমু বলেন, উভয়পক্ষ পরস্পর কাছের নিকটাত্মীয়। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগিনা। বসতভিটার বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় ভাবে যার যতটুকু পাপ্য তা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে কি কারণে মারধরের ঘটনা ঘটেছে তিনি বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। থানায় এজাহার দেওয়া হলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। ##

পাঠকের মতামত: