নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই ভাইয়ের পারিবারিক বিরোধ নিয়ে গ্রাম আদালতের একতরফা রায় বাস্তবায়নের অজুহাতে বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু হয়েছে। রোববার ১২ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গৃহকর্তা বরইতলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মিল্টন কান্তি দে বাদি হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন।
মামলায় বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সদস্য (মেম্বার) যথাক্রমে কাউছার উদ্দিন জোসেফ, আতিক উল্লাহ, মহিলা মেম্বার রাশেদা বেগম ও ইউনিয়ন পরিষদের জারিকারক মহসিন ওরফে লিমন, বাদির ভাই সেন্টু কান্তি দে’কে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারে আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির কৌশলী ও চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এইচএম শহিদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদির ফৌজদারি অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পশ্চিম হিন্দুপাড়া এলাকার মৃত মিলন কান্তি দে’র ছেলে মিল্টন কান্তি দে বলেন, আমার পৈত্রিক বসতভিটার পরিমাণ ৪১ কড়া। অর্ধেক জায়গায় আমি বাড়ি নির্মাণ করেছি, অপর অর্ধেক জায়গা ছোট ভাই সেন্টু কান্তি দের জন্য পৈতৃক বাড়িসহ স্থিত অবস্থায় রেখে দিয়েছি।
এরপরও কতিপয় মহলের ইন্ধনে আমার ছোট ভাই সেন্টু কান্তি দে বাড়ির ভাগ দাবি করে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তীতে ওই মামলায় একতরফা রায় দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদের মেম্বাররা।
বাদি মিল্টন কান্তি দে বলেন, সর্বশেষ গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিকালে গ্রাম আদালতের রায় বাস্তবায়নের অজুহাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় তারা বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রী সন্তানদের জিন্মিদশায় রেখে দেয়াল ভেঙে দরজা কেটে বাড়ির তিনটি রুম দখলে নেন। পরে রুমের বাইরে তালা লাগিয়ে দেন।
মিল্টন কান্তি দে আরও বলেন, ঘটনার পর তিনি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোনে কল দেন। এরপর নিকটস্থ হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানদের উদ্ধার করেন।
পাঠকের মতামত: