নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
অব্যাহত ভারী বর্ষণ পরবর্তী মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনপদে ভয়াবহ বন্যার তাণ্ডব সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.মামুনুর রশিদ। গতকাল বুধবার ৪ আগস্ট সকালে তিনি চকরিয়া উপজেলায় পৌঁছে প্রথমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চকরিয়া পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ১ নম্বার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার অংশটুকু পর্যবেক্ষন করেন। এরপর জেলা প্রশাসক উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এদিন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ চকরিয়া উপজেলায় বিএমচর ইউনিয়ন এর কন্যারকুম স্থানে সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক। সভায় তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিধি প্রতিপালন, চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন, জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা এবং করোনা ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন ও ভ্যাক্সিন প্রদান বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, বন্যাদুর্গত একাধিক এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মহোদয় চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী ভাঙ্গার মুখ অংশের ক্ষতিগ্রস্থ শহররক্ষা বাঁধ এবং সাম্প্রতিক বন্যায় বিএমচর কোনাখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুকিপূর্ণ অংশের বেড়িবাঁধের বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখে সহসা এসব ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ রক্ষায় টেকসই ও স্থায়ী সমাধান গ্রহনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ^াস দেন।
চকরিয়ায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামান, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমান উল্লাহ আমান ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: