নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বন বিট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন পাকা দোকানঘর উচ্ছেদে গিয়ে অপর এক নিরীহ ব্যক্তির দোকানের মালামাল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুলাহাজারা বন বিটের জিরানীখোলা নামক স্থানের পাড়ার ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বনবিভাগের ডুলাহাজারা বনবিটের আওতাধীন মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে রিংভং জিরানীখোলা নামক স্থানে নতুন পুরাতন প্রায় একশটির বেশি অবৈধ বসতি রয়েছে। সেখানে চলাচল সড়কের পাশে ৩টি দোকানও রয়েছে। এর পাশেই বসবাসরত মনোয়ারা বেগম নামের এক নারী একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন।
বনভূমিতে এই নতুন করে দোকান নির্মাণের বিষয়টি কোন এক ব্যক্তি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কে ফোনে জানিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় ডুলাহাজারা বনকর্মীরা নির্মাণাধীন দোকানঘরটি উচ্ছেদ অভিযানে যান। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে পুরো দোকান ভবনটির মাত্র কিছু অংশ ভাঙ্গার পর রহস্যজনক ভাবে দোকানটি উচ্ছেদ করেননি।
উল্টো ডিএফও’কে সংবাদ দেওয়ার অজুহাতে পাশের দোকানদার আব্দু রশিদের উপর হয়ে বিটকর্মকর্তা তার দোকানের চেয়ার টেবিল, ফ্রিজ ও টেলিভিশনসহ সব মালামাল ভাংচুর করেন বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক আব্দুর রশিদ।
ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, শুধু দোকানের ভেতর ভাংচুর নয়, আমি গিয়েছিলাম দোকান দুইটি ভেঙ্গে নিয়ে আসতে। কিন্তু আমি একা হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। লোকগুলো ভালো নয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, আমি তদন্ত করে তার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: