ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক উপহার পেল ৫০টি চিত্রা হরিণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ৫০টি চিত্রা হরিণ উপহার পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে দুই দফায় পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পর হরিণগুলো পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পাবনার হেমায়েতপুরের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শিল্পপতি অঞ্জন চৌধুরীর হরিণের ব্যক্তিগত খামার রয়েছে।

খামারে বেড়ে ওঠা চিত্রা হরিণ সাফারি পার্কে উপহার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে দুই ধাপে ৫০টি হরিণ পার্কে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ২ হাজার ২৫০ একর বনাঞ্চলে গড়ে তোলা দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আগে থেকে দেশীয় প্রজাতির সাম্বার ও মায়া হরিণ থাকলেও চিত্রা হরিণ ছিল কম। গত সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সারা দেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও খামার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে লালনপালন করা হরিণ পার্কে হস্তান্তর করা হয়। এর পর থেকে পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ বংশ বিস্তার করে। তবে পার্কে এখন সাম্বার, মায়া ও প্যারা হরিণ কমে গেছে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্কয়ার গ্রুপের উপহারের হরিণগুলো আনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে হরিণগুলো নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রেখে বেষ্টনীতে অবমুক্ত করা হয়। এখন দর্শনার্থীরা বাড়তি আনন্দ পাবে। বর্তমানে পার্কে অসংখ্য চিত্রা হরিণ রয়েছে। বছরে দুবার বাচ্চা দেওয়া হরিণের বংশ বিস্তার দ্রুত হয়।’

২০০১ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে এটি ছিল হরিণ প্রজনন কেন্দ্র। বর্তমানে পার্কের বিভিন্ন বেষ্টনীতে বাঘ, সিংহ, জেব্রা, ওয়াইল্ড বিস্ট, জলহস্তী, ময়ূর, কুমির, হাতি, ভালুক, হরিণ, লামচিতা, শকুন, অজগর, কচ্ছপ, রাজ ধনেশ, কাক ধনেশ, ইগল, সাদা বক, রঙিলা বক, সারস, মথুরা, নিশিবক, কানিবক, বন গরুসহ ৫২ প্রজাতির ৩৪১টি প্রাণী রয়েছে।

পাঠকের মতামত: