এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় দিনদুপুরে অনেকটা ফিল্মিস্টাইলে ইলেকট্রনিকের দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ছড়ারকুল এলাকায় দূর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ এক লাখ টাকা নিলে গেলেও স্থানীয় জনগনের প্রতিরোধের মুখে ট্রাক ভর্তি মালামাল ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওইসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন (৩০) গুরুতর আহত হয়েছে।
ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আবছার জানান, গতকাল জুমার নামাজের পর অর্তকিতভাবে ফাঁশিয়াখালী ছড়ারকুল এলাকার জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন ইলেকট্রনিকসের দোকানে আবুল কাসেম ও আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৫-৬জনের দূর্বৃত্ত ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওইসময় দূর্বৃত্তরা হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে দোকানের বিভিন্ন মালামাল লুট করে একটি গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে।
হামলাকালে দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন বাঁধা দেয়ার চেষ্ঠা করলেও তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে দোকান মালিকের শোর-চিৎকারে আশপাশের জনতা ধাওয়া দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ভর্তি পিকআপ ট্রাকটি আটক করে। ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরিষদের চকিদার ও দফাদাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া করে হামলাকারী আবুল কাসেম ও আনোয়ার হোসেনকে আটক করে পরিষদে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ব্রিজ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক পার্টসের ব্যবসা করে আসছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবুল কাসেম ও আনোয়ার কাসেম ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে তার দোকানের মালামাল লুট করে। ওইসময় তাকে মারধর করে।
স্থানীয় ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দোকানে হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে। হামলাকারী ও দোকান মালিক তিনজনই আপন ভাই। দোকানের মালামাল লুট করতে দেয়া হয়নি। পরে বিষয়টি মিমাংসার কথা জানান তিনি। ##
পাঠকের মতামত: