ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় পিতার দেয়া জমিতে গড়া মন্দিরে জমিদানে নারাজ পুত্ররা

অলি উল্লাহ রনি চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার): চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ এলাকায় মন্দির ছাড়া পৈত্রিক বসতভিটার জমি ভাগ-ভাটোয়ারা করতে নারাজ ৪সহোদর। এতে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই পিতার আদেশ মান্য করলেও বড় ৪ভাই ওই আদেশ উপেক্ষার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ভরামুহুরীর হিন্দুপাড়া এলাকায় জনৈক হরচন্দ্র মালাকারের পুত্র অর্জুন কুমার মালাকার দীর্ঘদিন ধরে ৩৯শতক জমির উপর একটি মন্দির ও বসতবাড়ি করে ধর্ম পালন ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। ওই ভিটায় তার সংসারে ৫ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে বড় ছেলে থেকে যথাক্রমে- অরবিন্দ প্রকাশ কালাবাঁশী, যুগেশ মালাকার (দাশ), দীনবন্ধু মালাকার, নারায়ন মালাকার ও সকলের ছোট সুসেন মালাকার। পিতা অর্জুন কুমার মালাকার ১৯৩৫সালের দিকে ৩৯শতক জমির উপর ১শতক জায়গা দানপূর্বক একটি মন্দির নির্মাণ করেন। অর্থাৎ তিনিই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। মন্দিরের নাম- শ্রী শ্রী সার্বজনীন কৃষ্ণ অদ্বৈত হরি মন্দির। তৎসময় মন্দিরটি বাঁশের বেড়া এবং টিনের ছাউনী দিয়ে তৈরি করা হয়। পথিমধ্যে দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অর্জুন কুমার মালাকার। তিনি মারা যাওয়া পূর্বে ছেলেদের কাছে ডেকে এনে একত্রিত করে ৩৯শতক জমি থেকে ১শতক জমির মন্দিরের জায়গা ছাড়া বাকি ৩৮শতক জমি সুন্দরভাবে ভাগ-ভাটোয়ারা করার আদেশ করেন। এরইমধ্যে গুরুতর অসুস্থ অর্জুন কুমার মালাকার ১৯৯৪সালে পরলোক গমন করেন।

মৃত অর্জুন কুমার মালাকারের ছোট ছেলে সুসেন মালাকার জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর মন্দিরটি পাকা ভবন নির্মাণে সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে অসম্পন্ন মন্দিরের উন্নয়ন কাজ চলছে। কিন্তু স্থানীয় কুচক্রি মহলের ইন্দনে সুসেনের বড় চারভাই একত্রিত হয়ে পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ৩৮শতক জমিকে মন্দিরের জায়গাসহ ৩৯শতক জমিতে পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি জানান, আমার বড় চারভাই আমার ভাগে মন্দিরের জায়গা ঢুকিয়ে দিয়ে সমান ৫ভাগ করতে চাচ্ছেন। এতে আমি বাবার প্রতিষ্ঠা করা মন্দির রক্ষায় প্রতিবাদ করি এবং বাবার দেয়া ৩৮শতক জমিকেই ভাগ-ভাটোয়ারা কথা বলি। দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে ওই ৩৮শতক জমি হতে আমাকে কম দিতে বড় চারভাই মন্দিরসহ ৩৯শতক জমি ভাগ-বণ্টনের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিসী বৈঠকও হয়েছিল। তাই মন্দির রক্ষাসহ পৈত্রিকপ্রাপ্ত জমিটি সুন্দরভাবে বণ্টন করে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি।

পাঠকের মতামত: