নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা হাফেজ বশির আহমদকে নিয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল চকরিয়া সদরে সংবাদ সম্মেলনে বিবৃতিতে হাফেজ বশির আহমদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে সরকারী অনুদান আসে মাসে ২২হাজার টাকা, কিন্তু আমার খরচ হয় প্রতি মাসে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা , সুতরাং এখানে আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নাই, বরং প্রতি মাসে আমার পকেট থেকে ১লক্ষ টাকা ঘাটতি থাকে ।
সংবাদ সম্মেলনে হাফেজ বশির আহমদ আরো জানান , মূলত শামসুল আলম নামের এক ব্যাক্তি জায়গা বিক্রি করবে বলে কিছু টাকা নিয়েছিল।, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে কালক্ষেপণ করে আসছে, কিন্তু কোনভাবে শামসুল আলম আমার টাকাও দিচ্ছে না, জায়গাও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। এখন পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহলের ইন্ধনে নোংরামি চালিয়ে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে।
হাফেজ বশির আহমদ বলেন, ইনশাআল্লাহ ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না, ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা অদিপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব, হাসান মাসুদ ও সহকারী পরিচালক শাহী নেওয়াজের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টীম ২০নভেম্বর প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। আমি তাদেরকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের সকল ডকুমেন্টপত্র উপস্থাপন করেছি।
এব্যাপারে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ রহমানিয়া হাফেজিয়া বালক-বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পক্ষে সমাজসেবা অদিপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে সুপারিশ সহকারে ডিও লেটার দিয়েছেন।
হাফেজ বশির আহমদ ভক্ত-অনুরাগী এবং সর্বস্তরের জনগনের উদ্দেশ্য বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা হাজারো ষড়যন্ত্র করে আমাকে দ্বীনের কাজ থেকে বিরত রাখা যাবেনা। তাই সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদ সমুহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত: