এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডিশ ব্যবসার বিরোধের জেরে ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা দিনদুপুরে পিটিয়ে জখম করেছে মোহাম্মদ সেলিম (৪০) নামের এক ডিশ মালিককে। হাতুঁড়ি ও লোহার রডের আঘাতে তাঁর সর্বশরীর থেতঁলে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। গুরুতর আহত ওই ডিশ ব্যবসায়ীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সেলিম ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ ডুমখালী এলাকার মো.নুরুল আজমের ছেলে।
চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামলার শিকার ডিশ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মালুমঘাট, ডুলাহাজারা এলাকায় সরকারি অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে ডিশ লাইনের ব্যবসা করে আসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ডুলাহাজারা রংমহল এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম নতুন একটি ডিশ লাইন চালু করে অবৈধভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন। নিয়মিত অনেক গ্রাহককে নানা অজুহাত দেখিয়ে তাঁর লাইনে সংযুক্ত করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে ডিশ মালিক সেলিমের সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের মধ্যে মতানৈক্য তৈরী হয়।
আহত ডিশ ব্যবসায়ী সেলিম অভিযোগ করেছেন, ব্যবসার বিরোধের জেরে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম আমাকে আগে থেকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকালে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে ডিশ লাইন সংযোগ দিতে পরিষদের সামনে মহাসড়কে কাজ করছিলাম। ওইসময় সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় আবুল হোসেনের ছেলে সুজন ও নাজেম উদ্দিনের ছেলে আকাশসহ ৫-৬জন যুবক লোহার রড, হাতুঁড়ি ও হকিষ্টিক হাতে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় আমি কিছু বলার আগে তাঁরা আমাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে বুকে-পিঠে পিটিয়ে সর্বশরীর থেতঁলে দিয়েছে।
হামলার সময় ঘটনাস্থলে অনতিদুরে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন ডুলাহাজারা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো.শওকত আলী ও পরিষদের মেম্বার সুনা মিয়া। তাঁরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, আমরা পরিষদে বসে কাজ করছিলাম। ওইসময় পরিষদের সামনে মহাসড়কে দেখিয়ে ৫-৬জন যুবক বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত ডিশ ব্যবসায়ী সেলিমকে প্রহার করতে শুরু করে। ঘটনাটি দেখে আমরা পরিষদ থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থলে যাবার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত সেলিমকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ডিশ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম জানান, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান বলেন, ডিশ ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: