এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাতদের সাথে পুলিশের ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে চকরিয়া থানার ওসিসহ পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। এসময় পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি দুইটি লম্বা বন্দুক, চারটি এলজি বন্দুক, দুইটি চোরা ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চকরিয়া-লামা আলীকদম সড়কের ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালু রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নস্থ লামা- আলীকদম সড়কে বুধবার রাত ১১টার দিকে ৭-৮জনের একদল ডাকাত ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালুর রাস্তা মাথাস্থ সড়কের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। থানা পুলিশ রাস্তায় ডাকাতি প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, অপরেশন অফিসার তানবির আহমদ, উপপরিদর্শক (এস আই) মো. আলমগীর, এস আই সুকান্ত চৌধুরী ও এস আই চম্পক বড়ুয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় একটি পুলিশদল ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় ডাকাতেরা পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে ১৫-২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশেও পাল্টা প্রায় ১০ রাউন্ড মত গুলি বিনিময় করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ডাকাত মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। ওই সময় ডাকাত দল পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের তিন সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় ডাকাতদের ছুঁড়া গুলিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এস আই আলমগীর ও এস আই সুকান্ত চৌধুরী আহত হয়। তাদেরকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।
ধৃত ডাকাতরা হলেন খুটাখালী গর্জনতলী এলাকার নুরুল হুদার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৮), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫) ও মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ (৩০)। এসময় পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি দুইটি লম্বা বন্দুক, চারটি (এলজি) বন্দুক, দুইটি চোরা, একটি চুলের মুখোশ ও ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বুধবার রাতে উপজেলার চকরিয়া-লামা আলীকদম সড়কের ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালু রাস্তার মাথা নামক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য ৭-৮জনের ডাকাতদল জড়ো হয়। ডাকাতি প্রস্তুতি নেয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ ক’জন ডাকাত পালিয়ে গেলেও তাদের পিছু ধাওয়া করে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতি প্রস্ততি ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
##
পাঠকের মতামত: