ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ট্রাকচালক বেলাল হত্যাকাণ্ডে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ট্রাকচালক বেলাল উদ্দিন (৪০) হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার বেলাল উদ্দিনের বড় ভাই মোহাম্মদ বাদশা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে থানায় মামলাটি রুজু করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে চারজনকে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার বাবুল পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনিচপাড়ার মো. মারজান আহমদের পুত্র। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বেতুয়া বাজার ব্রিজের কাছে মাতামুহুরী নদীচরের টমোটো ক্ষেত থেকে বাবুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন– পূর্ব বড় ভেওলার সিকান্দার পাড়ার মৃত আবদু ছালামের ছেলে জামাল হোসেন (৪৭), পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আমানপাড়ার মৃত আকবর আহমদের দুই ছেলে ইব্রাহিম বাবুল (৩০) ও নাজেম উদ্দিন (৫০), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ঈদমণি গ্রামের মৃত আবদুর বাছুরের ছেলে নুরুল আলম (৫২)। তবে আসামি নুরুল আলম বর্তমানে পাশের ইউনিয়ন বিএমচরের ছৈনাম্মার ঘোনায় বসতি স্থাপন করেছেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর ছোট ভাই বেলাল উদ্দিন পেশাগত একজন ড্রাইভার ছিলেন। পাশাপাশি এক নম্বর আসামি জামালের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে সবজি ব্যবসায় অংশীদারী হন। কিন্তু ব্যবসার লেনদেন নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। বেলালের অনুপস্থিতিতে একচ্ছত্র ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসার লাভের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন জামাল। এনিয়ে অনেকবার হিসাবে বসতে বললেও তাতে সাড়া দেয়নি জামাল। এরপরও প্রতিনিয়ত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ব্যবসার টাকা ফেরত চাইতেন বেলাল।

অবশ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে জামাল হোসেন নিজে ফোন করে বেলালকে বেতুয়া বাজার স্টেশনে নিয়ে যান। এর পর মাতামুহুরী ব্রিজের কাছে নদীচরের টমোটে ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় অপরাপর আসামিরা হত্যাকাণ্ডে উপস্থিত থেকে সহায়তা দেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ও ব্যবসায়িক লেনদেনের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে মর্মে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। একইসাথে এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: