ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে বিনা মুল্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মধ্যদিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় এদিন উপজেলার বিভিন্ন খামারীদের মাঝে সরকারিভাবে বিনামুল্যে মাছের পোনা বিতরণ, মৎস্য কর্মীদের মাঝে ট্যাব এবং সুফলভোগীদের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

তার আগে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেনজির আহমদ এর সার্বিক তত্তাবধানে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মেরিন ফিসারিজ অফিসার এ জেড এম মোছাদ্দেকুল ইসলাম ও এফ এ মো. সায়েফ উল্লাহ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা এবং মৎস্য চাষে সম্পৃক্ত সুফলভোগী ঘের মালিক ও চাষীসহ সুধীজন।

অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলার মৎস্যখাতের অগ্রগতি তুলে ধরে বক্তব্য দেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটাতে সরকার বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন ও জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি উন্নত এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে সীমিত জায়গায় বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে অল্প পুঁজিতে মাছ চাষ বেকারত্ব দূরকরণে সহায়ক হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, চকরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় ৭ হাজার একর চিংড়ি ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে বাগদা-চিংড়ির পরিবর্তে চাষ করা যায় এমন নতুন এক প্রজাতির চিংড়ি মাছ ‘ভেনামি’ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। এটি সফল হলে অধিক উৎপাদনশীল এই চিংড়ি মাছ চাষে বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি চাষিরা লাভবান হবে।

মাছের পোনা অবমুক্ত করণ অনুষ্ঠানে এমপি জাফর আলম বলেছেন, চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় রয়েছে অমিত সম্ভাবনার মৎস্য ভান্ডার। হাজার হাজার একর আয়তনের এই মৎস্য ভান্ডারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। তাঁর মাধ্যমে স্থানীয় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে আমাদের মৎস্য ভান্ডার।

তিনি বলেন, আমাদের বিশাল আয়তনের মৎস্য ভান্ডার থাকলেও অভাব আছে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত চাষের। তাই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষীদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। মৎস্য চাষীসহ চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলাবাসির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে আগামীতে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনার মাধ্যমে গুনগতমান সম্পন্ন মৎস্য চাষ নিশ্চিত করতে হবে। সেইজন্য মৎস্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার মৎস্য ভান্ডার থেকে বছরে শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: