ঢাকা,শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধ: ভুমিদস্যু পিতা-পুত্রের মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকাবাসী

চকরিয়া প্রতিনিধি ::  চকরিয়ায় জমি বিরোধের জের ধরে ভুমিদস্যু পিতা-পুত্রের হামলা-মামলায় অতীষ্ট হয়ে উঠেছে জনপ্রতিনিধি সহ  গ্রামবাসী। অভিযোগ উঠেছে ১৩ টি মামলায় ইতিমধ্যে অাসামী হয়েছে অর্ধশতাধিক। সৈনিকের চাকুরীর পরিচয়ে ছুটিতে এসে বিরোধপুর্ন জমিতে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস সৃষ্টি ও জমি দখল করতে এ মিথ্যা মামলার উদ্ভব বলে জানা গেছে। ধুর্ত সৈনিকের মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগিরা।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা ২নং ওয়ার্ডের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আবু ছৈয়দ একজন দুর্ত ও প্রতারক । প্রভাব খাটিয়ে ভুমিদস্যুতাই তার নিয়মিত কর্ম। তিনি তার দরিদ্র সহোদর মৃত শাহজাহানের বিধবা স্ত্রী রেজুয়ারা বেগম এবং আপন ভাগিনা নিজাম উদ্দিন বাবলুর সম্পত্তি আত্মসাতের কুমানসে বিভিন্ন ছলচাতুরী ও নকল খতিয়ান সৃজন করে দীর্ঘ বছর ধরে জবর দখল করে রেখেছে। জমি উদ্ধারের জন্য পরস্পরের বিরোদ্ধে দেওয়ানী মামলাও চলমান রয়েছে। জমিতে সমহারে অধিকার থাকলেও কৌশলে শাহজান-বাবলু গংদের দাবী থেকে
সরিয়ে রাখতে সৈনিকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একটি বলয় তৈরী করেছে আবু ছৈয়দ গং। তারপর একের পর এক গায়ে পড়ে হামলা ও মিথ্যা কাল্পনিক মামলায় জড়িত করে। এ ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দিচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, সম্পত্তির বিরোধ ধরে পক্ষে টানতে জমির দাবিদার আপন ভাগিনা বাবলুকে কন্যার বিয়ে দেয়। ভাগিনাকে কন্যা দেয়ার কয়েক বছর পরও পক্ষে টানতে ব্যর্থ হলে বাবলুর কাছ থেকে ১সন্তানসহ কন্যা কেড়ে নিয়ে ফের গোপনে অন্যত্র বিয়ে দেয় অাবু ছৈয়দ। জমির বিরোধ নিস্পত্তিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ও একাধিকবার বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রতিপক্ষকে তাদের প্রাপ্য অংশের জমি ছেড়ে দেয়ার রায় দেয় পরিষদ। এতে ক্ষিপ্ত হয় বিবাদী আবু ছৈয়দ ও তারপুত্র রবিউল গং। বিচারের রায়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে  বিচারক ইউপি সদস্য ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেলাল উদ্দিনকে ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে একাধিক মামলার আসামী করে দেওয়ানী মামলা ছাড়া ও ১৩ টি মামলা রুজু করেন ধুর্ত ভুমিদস্যু আবু ছৈয়দ ও তার পুত্র হাসান। মামলার কাগজ দৃষ্টে দেখা যায়, ৮টি ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলায় বাদী আবু ছৈয়দ হলে ও বাকী ৫টি ফৌজদারী মামলা করেছেন অাবু ছৈয়দের চাকুরীজিবী পুত্র রবিউল হাসান। ১৩ টি মামলায় আসামী করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ শতাধিক গ্রামবাসীকে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, অাবু ছৈয়দ এর চাকুরীজিবীপুত্র রবিউল হাসান গং দের সাথে শাহাজাহান গংদের মধ্যে জমি বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অাবু ছৈয়দ ও তার  পুত্র  হাসান গং একদল ভুমিদস্যু শ্রেণীর লোক। তারা খুব বেশী বেপরোয়া। নিজের বিচার মুখি হয়ে নিজেরাই কারো বিচার মানেননা তারা পিতা-পুত্র। তাদের কারনে এলাকার নিরীহ অর্ধশতাধিক লোক আসামী। এসব ধুর্ত লোকগুলোর বিরোদ্ধে সোচ্ছার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।
এ দিকে পিতা-পুত্রের ১৩টি মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাড়াচ্ছেন নিরীহ আসামীরা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মিথ্যা মামলার বিবাদী স্থানীয় মেম্বার বেলাল উদ্দিন, মৃত শাহজাহানের বিধবা স্ত্রী রেজুয়ারা বেগম এবং আপন ভাগিনা নিজাম উদ্দিন বাবলু সহ গ্রামবাসী।

পাঠকের মতামত: