চকরিয়া উপজেলার জমজম হাসপাতালের এমডির চেয়ার দখল নিয়ে বর্তমানে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থার কারনে হাসপাতালে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আগত রোগী ও স্বজনদের মাঝে । বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরকে হাসপাতালের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে অপসারণ করেছে হাসপাতালের বোর্ড সভা। চলতিবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এবং সর্বশেষ ১৩ আগষ্ট অনুষ্টিত সভাসহ পাঁচটি বোর্ড সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৪ আগষ্ট সকালে হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.শওকত ওসমান দায়িত্বভার গ্রহনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে হাসপাতাল আসলে তাকে দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে উল্টে অপসারণকৃত এমডি গোলাম কবির এবং তার পক্ষের লোকজন নাজেহাল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বোর্ড সভার সিদ্বান্ত অমান্য করে গোলাম কবির বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চেয়ার দখলে রেখেছে। এ অবস্থার কারনে হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও রোগীদের সেবা খাতে ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অভিযোগে হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার ও অংশিদাররা চকরিয়া নিউজকে জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে হাসপাতালের বোর্ড সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক দুইবছর মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে গোলাম কবিরকে নিয়োগ দেয়া হয়। মুলত তিনি হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে তার একক সিদ্বান্তে কারনে প্রতিষ্টানের সুনাম ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে বিভিন্ন কারনে অসদাচরন করা, কথায় কথায় গালি দেয়ার কারনে বর্তমানে হাসপাতালের সুনাম একেবারে শুন্যের কোটায় চলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ ক’জন রোগী হাসপাতালে মারা গেলে অপসারণকৃত এমডি গোলাম কবির নিহত রোগীর স্বজনদেরকে ভাল ব্যবহার না করে তার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। এ কারনে অনেকবার হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তাঁর কারনে অতিষ্ট হয়েছে মামলাও করেছে ভুক্তভোগী লোকজন। অবশ্য পরে মামলা গুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হাসপাতালের অংশিদাররা অভিযোগ করেছেন, গোলাম কবির হাসপাতালের ভেতর অবস্থিত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অফিস কক্ষটি গত আড়াই বছর ধরে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান হিসেবে ব্যবহার করছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় ওই কক্ষের ভেতর তার ব্যবসায়িক অংশিদার ও রাজনৈতিক দলের সহকর্মীরা অবস্থান করেন। তিনি হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ টাকা হাওলাদ হিসেবে নিয়ে নিজের ঠিকাদারী কাজে ব্যবহার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের অনেক শেয়ার হোল্ডার দাবি করেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অফিস কক্ষে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা প্রত্যক্ষ করে অনেকে এব্যাপারে তাকে বারণ করলেও তিনি বারবার তা উপেক্ষা করে চলছেন। এমনকি বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের জন্য তিনি কতিপয় জামাত শিবির নেতাদের অফিসে ঢেকে এনে অনেকবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। এসব ঘটনা প্রতিষ্টানের জন্য বড় ধরণের বিপর্যয় ডেকে আনবে এমন আশঙ্কা থেকে অনেক শেয়ার হোল্ডার তাকে বাঁধাও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা বলে সবই করেছেন হাসপাতালের ওই অফিস কক্ষে বসে।
হাসপাতালের ভুক্তভোগী অনেক শেয়ার হোল্ডারের দাবি, গোলাম কবির কলেজ জীবনে শিবিরের ক্যাডার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯১সালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ঢুকে ইউএনও মোস্তাফা কামালের ওপর হামলা করেন। ওইদিন চকরিয়া আদালতের এক আইনজীবি ঘটনাস্থলে নিহতও হন। এসব কারনে গোলাম কবির প্রশাসনের কাছে একজন চিহিৃত ব্যক্তি। শেয়ার হোল্ডারের মতে, আমরা শুরু থেকে তাকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব না দেয়ার জন্য বলে আসছিলাম। কারন ব্যক্তির কোন ধরণের অনৈতিক অপকর্মের কারনে একটি প্রতিষ্টানের যদি বড় ধরণের ক্ষতি হয়। কিন্তু বোর্ড সভা আড়াইবছর আগে সেইসব বিষয় আমলে না নিয়ে তাকে এমডি করেন। দায়িত্ব পেয়ে গোলাম কবির ফিরে যান তার আগের সেইসব ভ্রান্ত ধারণায়। যার কারনে তার আড়াই বছরের এই সময়ে হাসপাতালে ঘটেছে একের পর এক হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা।
হাসপাতালের অংশিদার ও শেয়ার হোল্ডারের দাবি, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে যেসব ঘটনা ঘটেছে সবই বির্তকিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরের ক্ষমতার দাপট ও রোগীর স্বজনদের সাথে র্দুব্যবহারের কারনে ঘটেছে। প্রশ্ন তুলেন অংশিদাররা, বলেন, আগে তো অনেক রোগী হাসপাতালে মারা গেছে। কিন্তু কোনদিন তো হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সুত্র চকরিয়া নিউজকে জানায়, চলতিবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী হাসপাতালে প্রথম বোর্ড সভা অনুষ্টিত হয়। এতে অংশ নেয় ১১সদস্য। তাঁরা হলেন, হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা.অধ্যাপক মাহবুব কামাল চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা.এসএম শওকত ওসমান, অধ্যাপক এনামুল মঞ্জু, গোলাম কবির, রিয়াজ মোহাম্মদ রফিক ছিদ্দিকী, ডা.মোহাম্মদ শাহআলম, প্রকৌশলী নুর হোসেন, ডা.আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, ডা.এমএ হাশেম, ডা.কামাল হোসেন ও মৌলভী আবদুল করিম। অনুষ্টিত এ বোর্ড সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে উপস্থিত বেশির ভাগ সদস্য আপত্তি তুলেন। বিশেষ করে হাসপাতালে আগত ও ভর্তি হওয়া রোগী, তাদের স্বজনদের সাথে অসদাচরণ, অফিস কক্ষে রাত পর্যন্ত বহিরাগত লোকজনের সাথে বসে আড্ডা দেয়া এবং তার অনৈতিক আচারণের ফলে হাসপাতালের হামলা ও ভাংচুর করার ঘটনা সমুহ। ফলে ওইদিনের বোর্ড সভা সিদ্বান্ত দেন, হাসপাতালে একজন চুক্তিভিত্তিক (বেতনভুক্ত) একজন চিকিৎসক এমডি নিয়োগ দেবে। তবে নতুন এমডি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গোলাম কবিরই দায়িত্ব পালন করবে। বোর্ড সভা থেকে গোলাম কবিরকে লিখিতভাবে জানানো হয় নতুন এমডি নিয়োগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য।
অভিযোগ উঠেছে, প্রথম বোর্ড সভা অন্ষ্টুানের পর প্রায় ছয়মাস সময় অতিবাহিত হলেও গোলাম কবির নিজেই চেয়ার দখলে রাখার জন্য সুকৌশলে নতুন এমডি নিয়োগের ব্যপারে সংবাদপত্রে কোন ধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেনি।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সুত্র চকরিয়া নিউজকে জানায়, প্রথম বোর্ড সভায় নেয়া সিদ্বান্ত বাস্তবায়ন করা ও হাসপাতালের অপরাপর বিষয় নিয়ে ৭মার্চ দ্বিতীয় বোর্ড সভা অনুষ্টিত হয় হাসপাতালে। ওই সভায় ১১জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জু। ওইসভায় প্রথম বোর্ড সভার সিদ্বান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ততৃীয় বোর্ড সভা অনুষ্টিত হয় ১০এপ্রিল। ওইসময় অনুপস্থিত ছিলেন ডা.কামাল হোসেন ও প্রকৌশলী নুর হোসেন। তবে অন্য ৯জন উপস্থিত ছিলেন সভায়। অনুষ্টিত এ বোর্ড সভায় উপস্থিত অনেকে আপত্তি তুলে ধরেন, গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে নতুন এমডি নিয়োগে তিনি কেন ধীরগতির আশ্রয় নিচ্ছেন বিষয়টি নিয়ে। ওইসভায় হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার রিয়াজ মো.রফিক ছিদ্দিকীকে পরিচালক (প্রশাসন) ও অধ্যাপক রিদুয়ানুল হককে পরিচালক (অর্থ পদে) নিয়োগ করেন বোর্ড সভা।
অভিযোগ উঠেছে, বোর্ড সভার এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবির তার ভাইরা ভাই হাসপাতালের অপর শেয়ার হোল্ডার আবুল আহমদ বিএসসিকে বাদি করে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। হাসপাতালের পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডাররা অভিযোগ করেছেন, আপত্তির বিষয়টি সাধারণ সভায় উপস্থাপনের নিয়ম থাকলেও গোলাম কবির সুকৌশলে তা অমান্য করে বোর্ড সভার লেজুলেশন ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আদালতে এ মামলাটি করেন। যাতে আসামি করা হয় হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা.অধ্যাপক মাহাবুব কামাল চৌধুরী, দুই পরিচালক যথাক্রমে রফিক ছিদ্দিকী ও অধ্যাপক রিদুয়ানুল হককে। অবশ্য মামলাটিতে তিনিও আসামি হয়েছেন নিজের সম্পৃক্ততা আড়াঁল করতে।
এসব ঘটনার জের ধরে ৩১জুলাই চতুর্থ দফায় জরুরী বোর্ড সভা ডাকা হয়। ওইসভায় ১১জনের মধ্যে অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জু অনুপিস্থত ছিলেন। তবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবি নুরুল ইসলাম। ওইদিন অনুষ্টিত বোর্ড সভায় বেশির ভাগ সদস্য হাসপাতালের চেয়ারম্যান, পরিচালকদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের ও হাসপাতালের গোপনীয় তথ্য পাচারের অভিযোগ তুলে গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেন। তাকৎক্ষনিক তাকে অপসারণের সিদ্বান্ত নেয় বোর্ড সভা, একই সাথে তাকে শোকজও করেন। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ওইসময় সভায় গোলাম কবির তার বিরুদ্ধে আনীত শোকজের জবাব দিতে পরবর্তী বোর্ড সভা পর্যন্ত সময় প্রার্থনা করেন। তার দেয়া সময়ের আলোকে ১৩ আগষ্ট পরবর্তী বোর্ড সভা বৈঠকের সিদ্বান্ত নেয় অনুষ্টিত চর্তুথ বোর্ড সভা।
জানা গেছে, গত ১৩ আগষ্ট সকালে হাসপাতালে যথারীতি শুরু হয় পঞ্চম বোর্ড সভার কার্যক্রম। কিন্তু ওইদিন শোকজের জবার না দিয়ে কৌশলে অনুপস্থিত থাকেন গোলাম কবির। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন না বোর্ড সভার সদস্য অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জু, ডা.কামাল হোসেন ও মৌলভী আবদুল করিম। তবে উপস্থিত ছিলেন ১১জনের মধ্যে বোর্ড সভার সাতজন সদস্য। সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অনুষ্টিত বোর্ড সভা। পরে বোর্ড সভা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরকে অপসারণ পুর্বক তার স্থলে হাসপাতালের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা.এসএম শওকত ওসমান নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ চুড়ান্ত করেন।
হাসপাতালের পরিচালক ও একাধিক শেয়ার হোল্ডার চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, পঞ্চম বোর্ড সভার পরদিন (১৪ আগষ্ট) সকালে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.এসএম শওকত ওসমান চট্টগ্রাম থেকে হাসপাতালের অপর শেয়ার হোল্ডার ডা.আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট নুরুল ইসলাম ও ডা.মুকিত ওসমানকে সাথে করে জমজম হাসপাতালে পৌঁছৈন। ওইসময় তিনি এমডির কক্ষে প্রবেশ করে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরকে বললে তিনি উল্টো তাকে নানাভাবে হুমকি দেন এবং তার অনুগত লোকজনকে দিয়ে নাজেহাল করেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডাররা।
জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবির চকরিয়া নিউজকে বলেন, ১৩ আগষ্টের বোর্ড সভার যেই বিষয়টির কথা হচ্ছে তা সত্য নয়। কারন ওই রকম বোর্ড সভা হলে তো আমি জানতাম। আমাকে না জানিয়ে কেউ কারো বাসায় বসে বোর্ড সভা করলে তো হবেনা। তিনি বলেন, নতুন এমডি দাবিদার ডা.শওকত ওসমানকে কোন ধরণের নাজেহাল করা হয়নি। তবে তিনি ১৪ আগষ্ট হাসপাতালে এসে নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিতে এসেছেন বলে আমাকে জানায়, আমি এব্যাপারে তার কাছে কোন ধরণের লেজুশেনর আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তার নিয়োগের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুলত তাঁরা হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার হবেন, অন্য পদে থাকার অধিকার তাদের নেই। তবে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে সবই আমাদের হাসপাতালের কিছু পরিচালকের ভুল তথ্য এবং তাদের অপতৎপরতার কারনে হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: