ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন ‘জামাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন জামাই। এসময় স্থানীয়রা চোরকে ধরে গণধোলাই দেয়। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে জামাইকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ৪এপ্রিল রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকায় এঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের হাতেনাতে আটক হওয়া যুবকের নাম আনছার উদ্দিন ওরফে মারবেল। সেই কাকারা ইউনিয়নের পাহাড়তলী গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র।

পরে ৫এপ্রিল বেলা তিনটার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চুরি ঘটনার জের ধরে ভোক্তভোগী দলিল লেখক শওকত ইসলামের বাড়িতে হামলা করে। হামলায় শিশুসহ দুই নারী আহত হয়েছে। তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এজাহারে ৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়েছে। আসামী হলেন, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকায় মৃত মনিরউল্লাহ’র পুত্র আতাউল্লাহ ও আমানউল্লাহ, আবদুল গণির পুত্র জমির ও আব্দু রহিম, আবদুল গণি এবং রাব্বি।

মামলার এজাহার বাদী শওকত ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ৪এপ্রিল রাতে তাঁর বাড়িতে চুরি চেষ্টার ঘটনায় হাতেনাতে চোর আটক হওয়ার পর তারা আমার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। পরদিন সকালে আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দিয়ে যায়।

পরে বেলা আড়াইটার দিকে ফের আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এতে আসামীদের হামলায় আমার স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়েছে। এসময় আসামীরা নগদ টাকাসহ স্বর্ণের টেইন, কানেরদোল ১লক্ষ ৩০হাজার টাকার মুল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর হটলাইন ৯৯৯নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়।

শওকত ইসলাম অভিযোগ করেন, চুরি করার সময় জনতার কাছে হাতেনাতে চোর আটক হওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো আমার পরিবারের ওপর হামলা করেছে। এখন আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ভোক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: