চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত বাহাদুর করিম।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ ছাইয়রাখালী এলাকা থেকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরী দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত সর্দারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত বাহাদুর করিম প্রকাশ বাহাদুর (৩০) একজন পেশাদার ডাকাত। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ডাকাতির করার পাশাপাশি চরণদ্বীপের জিয়াবুল বাহিনীর অন্যতম সদস্য এবং দুর্ধর্ষ ডাকাত, দখলবাজ ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। বাহারদু জিয়াবুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং বিভিন্ন চিংড়ীঘের থেকে মাসিক এবং প্রতি জোতে চিংড়ী চাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে তার নেতৃত্বে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ অন্য অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার ভোররাতে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার চৌধুরীর নির্দেশে এসআই আবদুল খালেক ও এসআই সুকান্ত চৌধুরীসহ পুলিশের একটিদল অভিযান চালিয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালীস্থ বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেন। বাহাদুর উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার মৃত আব্দুস সালাম মাঝির ছেলে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মিজানুর রহমান বলেন, অস্ত্রসহ কয়েকজন ডাকাত অবস্থান করছেন এ ধরণের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ভোররাতে থানার ওসির নির্দেশে এসআই আব্দুল খালেক ও এসআই সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশদল উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে অভিযানে যান। ওইসময় ইউনিয়নের ছাইরাখালীস্থ বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে অস্ত্রসহ বাহাদুরকে গ্রেফতার করেন। তিনি বলেন, অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় তৈরী একটি এলজি ও একটি একনলা বন্দুক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাহাদুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাাদাবাজি, চিংড়ীঘের দখলসহ অন্য অভিযোগে অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নতুন একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: