ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার জেরে একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় খরিদাসুত্রে ভোগদলীয় জমিতে শান্তিপুর্ণ বসবাসে থাকলেও প্রতিপক্ষের লোকজন ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের জড়ো করে সেখানে অবৈধ বসতি নির্মাণের চেষ্ঠা করেছে। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে জায়গার মালিকপক্ষের একই পরিবারের পাঁচজনকে।

আহতরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনা গ্রামের আবদুল জলিল (৫৫), মোহাম্মদ ইসলাম (৫০), শাহাব উদ্দিন (২৬), জিয়াবুল হক (২৯) ও আবদুল হামিদ (৩০)।

আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আবদুল জলিল ও জিয়াবুল হক নামের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম করাইয়াঘোনা এলাকায়।

হামলার এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্ত্রী আলতাজ বেগম। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন একই এলাকার মীর কাশেম, মনির, আবদু রাজ্জাক, মিজবাহ প্রকাশ কালু, নুরুন্নবী ও মোহাম্মদ আলী।

মামলার আর্জিতে বাদি চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম করাইয়াঘোনা এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের স্ত্রী আলতাজ বেগম (৪৫) জানান, চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা মৌজার ৩৫০ নম্বর সৃজিত বিএস খতিয়ানের ৬০৬ নম্বর দাগের ৬শতক জমি তাদের বাড়ি লাগোয়া খরিদা জমি। ক্রয়ের পর থেকে খরিদাসুত্রে ভোগদলীয় উল্লেখিত জমিতে তাদের পরিবার শান্তিপুর্ণ বসবাসে থাকলেও অভিযুক্ত আসামিপক্ষের লোকজন উল্লেখিত জমি জবরদখলে নানাভাবে অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তরা ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের জড়ো করে উল্লেখিত খরিদা জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে ইট বালু কংক্রিট ইত্যাদি নিয়ে অবৈধ বসতি নির্মাণের চেষ্ঠা করে।

বাদি আলতাজ বেগম জানান, জমি দখলের খবর পেয়ে ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত কুপিয়ে জখম করেছে আমার পরিবারের পাঁচজনকে। ঘটনার পরপর আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত আমার স্বামী মোহাম্মদ ইসলাম , ভাসুর আবদুল জলিল, আমার দুই ছেলে শাহাব উদ্দিন ও জিয়াবুল হককে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তাঁরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাদের মধ্যে আবদুল জলিল ও জিয়াবুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকত্রী আলতাজ বেগম। এদিকে অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাদি আলতাজ বেগম। এমনকি পাল্টা সাজানো মামলায় জড়িয়ে হয়রাণির চেষ্ঠা করছেন বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। #

পাঠকের মতামত: