ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

জহিরুল আলম সাগর, চকরিয়া :: চকরিয়ায় ছমিরা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরিয়ান নামে ওই গৃহবধূর সংসারে ১১ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
খবর পেয়ে থানার এস আই গোলাম সরোয়ার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে রাত ৯টার দিকে মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন।

আজ বুধবার (২৪ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাইন্যারডেইল পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া গৃহবধূ ছমিরা আক্তার ওই এলাকার বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী। ছমিরা আক্তারের স্বজনদের অভিযোগ, গৃহবধূর স্বামী বোরহান উদ্দিন তাকে বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ার চকরিয়া নিউজকে বলেন, মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তার শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ছমিরা আক্তারের মা দিলোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ের স্বামী বোরহান উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্পে চাকুরি করেন। চাকুরি করার সুবাধে তাদের মেয়ে ছমিরাকে বিয়ে করে উখিয়া জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন। তাদের সংসারে ১১ মাসের একটা বাচ্চা রয়েছে।

এক মাস আগে ওই ভাড়া বাসা থেকে আমার মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে বোরহান কাউকে না জানিয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। চলে আসার পরে মেয়েকে বিভিন্ন অজু হাতে মারধর করতো বলে মেয়ে ছমিরা আমাকে কয়েকবার জানায়।

ঘটনার দিন (বুধবার) মেয়ের স্বামী বোরহান দিনের ২টার দিকে আমাকে মোবাইলে কল করে জানায় মেয়ে ছমিরা বিষ খেয়ে মারা গেছে। এর পর বোরহানের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগ করলে তার পর থেকে মোবাইলে আর সংযোগ পাওয়া যায়নি। এতে বোরহান প্রতি আরও সন্দেহ বেড়ে যায়। আমার মেয়েকে হত্যা করে সে পালিয়ে গেছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এক মহিলার লাশের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।

নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: