ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গৃহবধূ ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: চকরিয়ায় গত চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দুইটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের দায়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অপরটি ৯ম স্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পৌর শহরের আবাসিক হোটেল আল রহমতে তুলে এনে ধর্ষণ করে। পরে মুমুর্ষ ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ধর্ষিতা ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী কন্যা লেখাপড়ার সুবাদে থাকেন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামে। জনৈক প্রবাসীর ৯ম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে গত ২৯ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলের এসাইন্টম্যান্ট জমা দিতে বের হলে পথিমধ্যে খুটাখালী ইউনিয়নের ফরেষ্ট অফিস পাড়ার নুরুল আমিনের পুত্র রাশেদ বিন আমিন পূর্বে থেকে ওৎপেতে থেকে পরিকল্পিতভাবে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ওই সময় গাড়ীতে তুলে চকরিয়া পৌর শহরস্থ হোটেল আল রহমতে নিয়ে আসে। রাশেদ বিন আমিন দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে হোটেল কক্ষের ভেতরে স্কুল ছাত্রী (১৪) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক উপর্যপুরী ধর্ষণ করে।
ধর্ষণকারী নিজেই হোটেল কক্ষ থেকে দুপুর ১টার দিকে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌছার পূর্বেই অভিযুক্ত ধর্ষণকারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে অজ্ঞান ও মুমুর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে রেফার করলে, সেখান থেকে রক্তের শূণ্যতা পূরণের জন্য কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরবর্তীতে ৩০ডিসেম্বর বিকেলের দিকে জ্ঞান ফিরলে তাকে পূণরায় জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) মো: মোজাম্মেল হোসেন। তিনি জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে ধর্ষক রাশেদ বিন আমিনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দিয়েছেন। মামলা হিসেবে নেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের বিভিন্ন আলামতও জব্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট ডুমখালী খালেরচর এলাকায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮.৩০ঘটিকার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। এঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণে জড়িত ৪জনের বিরুদ্ধে ২৯ ডিসেম্বর চকরিয়া থানায় মামলা (নং৩৭/জিআর ৫১৭/২০) দায়ের করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: আশরাফ হোসেন বলেন, ধর্ষণের দায়ে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অপর একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের পৃথক টিম অভিযানে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: