ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হুন্ডি ব্যবসা জমজমাট

takaনিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :::

চকরিয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদে হুন্ডিতে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টান গোপনে ও ব্যক্তি পর্যায়ে ভ্রাম্যমান পদ্ধতি চলছে হুন্ডির রমরমা বাণিজ্য। রমজানের ঈদের পর এবারের কোরবানির ঈদে বেশির টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে দেশে পরিবারের জন্য জরুরী প্রয়োজনে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকে প্রবাসিরা। স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান প্রশাসনের নাকের ডগায় দিব্যি হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে আসলেও পুলিশ বা প্রশাসনের কোন দপ্তর এ পর্যন্ত হুন্ডি ব্যবসায়ী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে এ অবস্থার কারনে চকরিয়ায় বর্তমানে হুন্ডির অবৈধ লেনদেন বেড়ে চলছে। কিন্ত সঠিক দেখভালের অভাবে সরকার হারাচ্ছে বিপুল টাকার রাজস্ব। জানা গেছে, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় এক লাখ মানুষ সৌদিআরব, দুবাই, কাতার, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চাকুরীসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে কর্মরত থেকে প্রবাস জীবন যাপন করছে। পবিত্র ঈদুল আযজার ঈদকে সামনে রেখে চলতি মাসে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে পরিবার পরিজনের কাছে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করছে। এতে করে সরকারও হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভা সদরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মার্কেট গুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানের আড়ালে বিশেষ করে ট্রাভেল এজেন্সী গুলোর পাশাপাশি কাপড়ের দোকান, মুদির দোকান, কসমেটিক্স’র দোকান, স্বর্ণের দোকান, ফোন ফ্যাক্সের দোকানের আড়ালেও এসব হুন্ডি ব্যবসা চলছে জমজমাট। এছাড়াও সিটি সেন্টারেও ডজন খানেক ট্রাভেল এজেন্সী ও চিরিঙ্গা সমবায় সমিতির মার্কেটের ৩টি ট্রাভেল এজেন্সী, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স ও আবদুল মতলব শপিং সেন্টারের বেশ কটি ট্রাভেল এজেন্সীর বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসীদের মধ্যে মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লোক সরকারী ও তফশিলি কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করলেও অধিকাংশ প্রবাসীরা সহজ উপায়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকে।
প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনকে ফাঁকি দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওইসব অসাধূ হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা হুন্ডির টাকা বিতরনে অভিনব কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে বিভিণœ মুদির দোকান, শো‘রুম, ফোন ফ্যাক্সের দোকান, পানের দোকান, কাপড়ের দোকান, সুতার দোকান, বইয়ের দোকান, কসমেটিক্স এর দোকান, মটর পার্ট্সরে দোকান, স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রী ও বাড়ীর গৃহবধুদেরকে। হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে চকরিয়া সদরের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লেনদেন হলেও সরকারের কোষাগারে এক কানাকড়িও রাজস্ব জমা পড়ছেনা। এ ধরণের হুন্ডি ব্যবসা চলতে থাকলে প্রতিনিয়ত সরকার হারাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব আর প্রতারিত হবে প্রবাসী পরিবারের লোকজন। সচেতন মহল অসাধু হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: