ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

এক মুঠো চাল দেয়নি কেউ

চকরিয়ায় কৈয়ারবিল অগ্নিকাণ্ডে চার পরিবারের ৩০ নারী-শিশু এখনো খোলা আকাশের নিচে 

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া জেলে সম্প্রদায়ের তিনটি ঘরের চার পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ নারী পুরুষসহ ৩০ সদস্য খোলা আকাশের নিছে মানবেতর জীবন যাপন করছে। খাবার, শীত বস্ত্র ও মাথা গোঁজার ঠাই নেই তাদের। তাদের পরিবারে চলছে আহাজারি। একমুঠো চাল দিয়েও কেউ সহায়তা করেননি।

জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন ধরনের সাহায্যে নিয়ে এগিয়ে আসেননি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধনারী-পুরষ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ভরইন্যাচর এলাকায় জেলে সম্প্রদায়ের তিনটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে আগুনের সুত্রপাত কোথা থেকে কেউ বলতে পারছেনা।

পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিকরা হলেন, গোপেশ দাশ, বিনোত দাশ, বিধুল দাশ ও সুনন্দ দাশে। চারজনই এক সাথে লাগানো তিন ঘরে বসবাস করতো। আগুন লেগে তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সমুদ্রে মাছ ধরে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ গোপেশ দাশ বলেন, একসাথে তিনটি ঘর পুড়ে যাওয়ায় শিশু, নারী পুরুষসহ ৩০ সদস্য এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছি। ঠিকমত খাবার পাচ্ছিনা। কেই একমুঠো চাল নিয়েও এগিয়ে আসেন নি। আগুনে মাছ ধরার জাল, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, কাপড়ছোপড়, পশুপাখিসহ অন্তত ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনেডিক্ট ডায়াস এর পরিবার। ঘর পোড়ার চারদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি, সরকারী-বেসরকারী কোন প্রতিষ্টান সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন নি।

তিনি বলেন, গত ৮ মাস আগে ওই ঘরের এক কোনে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। টের পেয়ে চিৎকার করলে রাতের অন্ধকারে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে যান-মালের নিরাপত্তা চাই।

সুনন্দ দাশ বলেন, সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় এক কাপড়ে চারদিন ধরে আছি। তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছি আমরা। সুদে টাকা কর্জ করে পরিবারের খাবার যোগাড় করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

পাঠকের মতামত: