চকরিয়ায় নিহত কিশোর আনাস ইব্রাহিম।
ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত খুনি রুবেল
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঈদবাজারে সওদা করতে এসে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মী এক কিশোর। এ সময় আহত হয় আরেক কিশোর। এর আগে মুমুর্ষ অবস্থায় দুইজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাণ হারায় কিশোর আনাস ইব্রাহিম (১৮)। ২৫মে, শনিবার দিবাগত রাত দশটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের বিপনী বিতান ওয়েস্টার্ণ প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
নিহত আনাস ইব্রাহিম (১৭) চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা গ্রামের হাফেজ নেছার উদ্দিনের ছেলে। সে সদ্য এসএসসি পাশ করেছেন। গুরুতর আহত হয় একই এলাকার আবদুল্লাহ নামের আরেক কিশোর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত আনাস ইব্রাহিম ঈদের শপিং করার জন্য তার বন্ধু আবদুল্লাহকে নিয়ে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় আসে। তারা দশটার দিকে তারা শহরের ওয়াপদা সড়কের বিপনী বিতান ওয়েস্টার্ণ প্লাজায় ঢুকছিল। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৭-৮ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো ছুরি নিয়ে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে আনাস ইব্রাহিম ও আবদুল্লাহকে। এতে আনাসের পেটে ছুরিকাঘাতে নাড়ি-ভুরিও বের হয়ে যায়। আর আবদুল্লাহকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত আনাসের স্বজনরা জানায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা কাশেম মাস্টার পাড়ার রুবেলের সঙ্গে আনাসের মধ্যে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে সম্প্রতি দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। সেই যাত্রায় আনাস বেঁচে যায়। কিন্তু রুবেল তখন থেকেই সুযোগ খুঁজছিল আনাসকে মারতে। সেই ধারাবাহিকতায় আনাস ঈদের শপিং করতে চিরিঙ্গা আসলে দলবল নিয়ে রুবেল সশস্ত্র অবস্থায় হামলে পড়ে আনাস ও তার বন্ধু আবদুল্লাহর ওপর।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
পাঠকের মতামত: