ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ইয়াবার টাকার ভাগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

চকরিয়া প্রতিনিধি :::

yabaচকরিয়ায় ইয়াবা ব্যবসার টাকার ভাগের বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দু’পক্ষ প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুইপক্ষের মধ্যে এই ধাওয়া চলার সময় ইটপাটকেলের আঘাতে পথচারী প্রবীণ এক শিক্ষক রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পৌরসভার চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়াস্থ হাসপাতাল সড়কের উত্তর মাথায় কুলিং কর্ণারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলের আঘাতে জখম হওয়া প্রবীণ শিক্ষকের নাম হৃদয় রঞ্জন দাশ (৭৫)। তিনি চিরিঙ্গা হিন্দু পাড়ার মৃত মাস্টার শশী কুমার দাশের পুত্র। এছাড়া সংঘর্ষে জড়ানো দুইপক্ষের কয়েকজন আহত হলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়াস্থ হাসপাতাল সড়কের উত্তর মাথাস্থ কুলিং কর্ণারে বসে কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় অপরপক্ষ ধারালো কিরিচ, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয়। এই অবস্থায় অপরপক্ষও আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এই অবস্থায় একপক্ষ অপর পক্ষকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা ইটপাটকেল গিয়ে পড়ে পথচারী প্রবীণ মাস্টার হৃদয় রঞ্জন দাশের গায়ে। এতে তিনি আহত হন। পরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায়সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে জড়ানো দু’পক্ষ পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দাবি করেন, ইয়াবা ব্যবসার টাকার ভাগের বিরোধ নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল চন্দ্র সুশীল ও ছাত্রলীগ নেতা তারেকের সহযোগীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সঠিক কি নিয়ে তাদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে তার বিস্তারিত জানাতে পারেননি তারা।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়। যেসব ছাত্রলীগ নেতা প্রকাশ্যে বন্দুক ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনা সংঘটিত করেছে তাদেরকে ধরতে এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: