চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তড়িৎ হস্তক্ষেপে অসময়ের বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছেন উত্তর হারবাং জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী জন্নাতুল নাঈমা (১৬)। নাঈমা হারবাং ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনাছড়ি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জহির আলমের মেয়ে। আগামী শুক্রবার কুতুব উদ্দিন নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য্য করে পরিবার। বিষয়টি গোপনে জানতে মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাৎক্ষনিক ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাই। পরে তার মা-বাবা’র সাথে কথা বলে ও জন্মনিবন্ধন দেখে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বর্তমান বয়স ১৬বছর। সে এবছর অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো। কিন্তু গত দুইবছর আগে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করার সময় পারিবারিক দৈন্যদশার কারনে তাকে আর পড়াতে পারেনি পরিবার। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এর আগে ছাত্রীর মা-বাবাকে বাল্য বিয়ের সুফল-কুফল সর্ম্পকে বুঝানো হয়। তারপর তাঁরা (মা-বাবা) সিদ্বান্ত নেন প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেনা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইউনিয়নের উত্তর নুনাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদ্র পানের দোকানদার জহির আলম মেয়ে জন্নাতুল নাঈমা’র (১৬) অমতে একই উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের উত্তর বরইতলী খয়রাতি পাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কুতুব উদ্দিনের (১৮) সাথে বিয়ে দিচ্ছিল। ইতোমধ্যে বর-কণের পরিবার বিয়ের ঠিকপর্দও করে নিয়েছেন। চিঠি ছাপিয়ে দুই পক্ষই আত্মীয় স্বজনসহ পরিচিতজনদেরকে আমন্ত্রন জানাচ্ছেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পেয়ে অবহিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, গোপনে বাল্য বিয়ের ঘটনাটি জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাড়িতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। পরে ছাত্রীর মা-বাবার সাথে কথা বলে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে যাতে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত গোপনে ওই ছাত্রীকে বিয়ে দিতে না পেরে সেই জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে তদারক করতে বলা হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: