এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
অবশেষে চকরিয়া এসেছে স্বপ্নের রেলগাড়ী। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের পুরানো স্টেশন থেকে দোহাজারী হয়ে ট্রায়াল রেলগাড়ী পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাবার পথে চকরিয়া উপজেলার তিনটি স্টেশনে নতুন রেলগাড়ী দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ইঞ্জিনসহ ৯ বগির রেলগাড়ী চকরিয়া উপজেলার প্রথম স্টেশন হারবাং জংশনে পৌঁছে।
এসময় রেলগাড়ীর হুইসেল বেজে উঠলে সেখানে লোকারণ্য হয়ে উঠে পুরো জংশন স্টেশন এলাকা। স্বপ্নের রেল থামানোর পর হারবাং স্টেশনে স্থানীয় উৎসুক মানুষ জীবনের প্রথম রেলযাত্রায় সারথি হতে রেলগাড়ীর সঙ্গে সেলফি তুলতে শুরু করে। অনেকে রেলগাড়ীর ভেতরে ঢুকে একটুখানি বসে স্বপের সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুজতে চেষ্টা করে।
চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, স্বপ্নের রেলযাত্রা উপভোগ করার জন্য সকাল থেকে হারবাং জংশন স্টেশনে নানা বয়সের মানুষের ভিড় জমে যায়। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে হারবাং স্টেশনে স্বপ্নের রেলগাড়ী পৌছালে মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটে। এরপর দর্শনাথীরা যে যার মতো করে রেলগাড়িতে চড়ে বসেন। সেলফি তুলতে শুরু করেন অনেকে।
এরপর ট্রায়াল রেলগাড়ীটি যাত্রা করে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল পুর্ববড় ভেওলা সীমান্ত লাগোয়া স্টেশনে দিকে। সেখানে রেলগাড়ি থামলে আগে থেকে উপস্থিত থাকা দর্শনাথীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন স্বপ্নের রেল দেখতে। একইভাবে সেখানেও উৎসুক নানা বয়সের মানুষ রেলগাড়ি দর্শন করে কেউ একা, আবার অনেকে দলবেঁধে সেলফি তুলেন, অনেকে ভেতরে ঢুকে রেলগাড়ীর ভ্রমন উপভোগ করেন বলে জানিয়েছেন সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী।
বিকাল তিনটার দিকে কক্সবাজার যাবার পথে স্বপ্নের রেলগাড়ী পৌঁছে চকরিয়া উপজেলার শেষ স্টেশন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায়। সেখানে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী এলাকাবাসী, শ্রেণীপেশার মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেলযাত্রাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান।
চকরিয়া উপজেলার তিনটি (জংশন) স্টেশনে রেলটি এক ঘণ্টা অবস্থান করে বিকাল ৩ টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। ট্রায়াল রেলগাড়িতে এসময় রেলওেয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, সদ্য চালু হওয়া দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইনের ট্রায়াল রেলগাড়ী দেখতে গতকাল সোমবার চকরিয়া উপজেলার তিনটি স্টেশনে হাজারো উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায় সকাল থেকে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বপ্নের রেলগাড়ি আসতে দেরি হলেও মানুষের কৌতুহল ছিল অন্যরকম আমেজের।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় পৃথক তিনটি রেলস্টেশন করা হয়েছে। তদমধ্যে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সীমান্তে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন।
পাঠকের মতামত: