ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। এরই আলোকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় “অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি ‘এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মহড়ার মধ্য দিয়ে আন্তার্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার) আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সুগন্ধায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি (সিপিপি) সহকারী পরিচালক কেএম মাহতাবুল বারী, চকরিয়া ফাযার সার্ভিস ডিফেন্স কর্মকর্তা, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী, কাকারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, সদর ইউনিয়নের সিপিপি টিম লিডার নুরুল মোক্তাদির লিটন, সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্কাউট ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমপি জাফর আলম বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা প্রদক্ষেপের কারণে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যার কারণে জেন্ডার রেসপন্সিভ ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ অর্জন করতে সরকার সক্ষম হয়। জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের নানা পরিকল্পনায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপির যাত্রা শুরু করেছিলেন। যার কারণে প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণের কাজও তখন থেকেই শুরু হয়। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে সকলকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যে সব সাইক্লোন শেল্টার ও মুজিবকিল্লা রয়েছে সেখানে মানুষ যাতে নিরাপদে অবস্থান নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই বিগত সময়ের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বর্তমান সরকারের ভূমিকা অপরিসীম। ##

পাঠকের মতামত: